, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

চট্টগ্রাম ৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবে মোছলেম উদ্দিন” আশাবাদ প্রবীণ নেতাদের

প্রকাশ: ২০১৯-১২-০১ ২১:০৬:৩৫ || আপডেট: ২০১৯-১২-০১ ২১:০৬:৩৫

Spread the love

চট্টগ্রামের আলোচিত সংসদীয় আসনের নাম বোয়ালখালী চান্দগাঁও তথা চট্টগ্রাম ৮ আসন।

বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের রাজনীতিতে আলোচনায় সে বোয়ালখালী চান্দগাও আসন।

প্রয়াত সাংসদ বাদলের আসনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি? সে আলোচনায় এখন আওয়ামীলীগের ঘরে বাইরে।

আসন্ন উপনির্বাচনে মনোনয়ন দৌঁড়ে কে এগিয়ে আর কে পিছিয়ে এমন সংবাদ প্রকাশে পিছিয়ে নেই দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল। নিজেদের মন্তব্য প্রতিবেদনে মতামত প্রকাশ করে প্রার্থীর ঝুলি ভারি করছে।

তবে মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। প্রবীণ এই নেতা দলটির নিবেদিত প্রাণ, প্রয়াত নেতা আক্তারুজ্জমান বাবুর ঘনিষ্ঠ সহচর জনাব মোছলেম উদ্দিন অন্তত একবারের জন্য বোয়ালখালী চান্দগাও আসনে মনোনয়ন পাবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারা। মোছলেম উদ্দীন শুধু বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসেবেই নয়, এ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সবার চেয়েও বয়োজ্যেষ্ঠ ও ত্যাগী নেতা।

উপনির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, প্রয়াত এমপি মইন উদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান বাদলসহ অনেকেই আলোচনায় থাকলেও নৌকার টিকিট পেতে যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোছলেম উদ্দীন আহমেদ।

তিনি ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৭২ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম শহর শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে যুবলীগ হয়ে দীর্ঘ বছর প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর সাথে সাধারণ হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের। বাবুর মৃত্যুর পর মোছলেম উদ্দিন আহমেদ গত ৭ বছর ধরে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

সম্প্রতি নিজের মনোনয়ন লাভের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে প্রবীণ এ নেতা বলেছেন, ‘আমি বাসদ করিনি, জাসদ করিনি, আব্দুর রাজ্জাকের বাকশাল করিনি। আজীবন আওয়ামী লীগ করেছি। মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কারাভোগ করেছি। আমার বাড়িঘর ভাংচুর হয়েছে। চট্টগ্রামের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে থেকে কাজ করেছি। আমি রাষ্ট্রদূত হতে চাইনি, ব্যাংকের পরিচালক হতে চাইনি, হতে চাইনি সিডিএর চেয়ারম্যান। পটিয়া থেকে আমাকে যখন মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল তখন দলের দুঃসময় ছিল। তাই আমি মনে করি আমাকে একটিবার সুযোগ দেওয়া উচিত।’

মোছলেম উদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম সেলিম বলেছেন, ‘প্রয়াত সাংসদ মইন উদ্দীন খান বাদল যোগ্য নেতা হলেও জাসদের নেতা হওয়ায় তৃণমূলে জনভিত্তি না থাকায় অন্য জেলার মতো উন্নয়ন করতে পারেননি। কিন্তু মোছলেম উদ্দীনের সাথে পুরো বোয়ালখালীর তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা আছেন। তাকে দিয়েই এলাকার উন্নয়ন হবে বলে শেষ বয়সে নৌকার দাবিদার তিনিই।’

দক্ষিণ জেলা যুবলীগের প্রভাবশালী সদস্য কুতুব উদ্দীন শাহ ইমন বলেন, ‘পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের মুরব্বী মোছলেম ভাইকে মনোনয়ন দেওয়া এখন সময়ের দাবি। উনার শেষ বয়সে এসে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দরকার। উনার অবদান আওয়ামী লীগে অনেক। তাই অবদানের ক্ষুদ্র প্রতিদান হিসেবেই আমরা চাইব নেত্রী উনাকে মূল্যায়ন করুক।’

Logo-orginal