admin
প্রকাশ: ২০১৯-১২-০৬ ১০:০১:৫৪ || আপডেট: ২০১৯-১২-০৬ ১০:০১:৫৪
ভারতের হায়দ্রাবাদে পশু চিকিৎসককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত চার আসামির সবাই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। যে স্থান থেকে ওই চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, সাদনগর মহাসড়কের সেই স্থানে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় তারা।
গত ২৭ নভেম্বর তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদে পাওয়া যায় ২৭ বছর বয়সী এক নারী পশু চিকিৎসকের পুড়ে যাওয়া মরদেহ। তদন্ত শেষে পুলিশ জানায়, ওই তরুণীর স্কুটারের চাকা ফুটো করে দিয়েছিল ঘাতকরা। চাকা ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই স্কুটার। তারপর চার জন মিলে ধর্ষণ করেছিল তাকে। এরপর খুন করে পেট্রোল-ডিজেল ঢেলে পুড়িয়ে দিয়েছিল তরুণীর মরদেহ। এর পর ২৯ নভেম্বর অভিযুক্ত চারজনকেই গ্রেফতার করে তেলেঙ্গানা পুলিশ।
শুক্রবার হায়দ্রাবাদের পুলিশ কমিনশনার জানিয়েছেন, হেফাজত থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার চার অভিযুক্ত নিহত হয়েছে। তদন্তের জন্য তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকেই পালানোর চেষ্টা করে তারা। তারপরই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তাদের।
গত সপ্তাহে ভারতে বেশ কয়েকটি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। ঝাড়খণ্ডে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন এক নারী আইনজীবী। ৫ ডিসেম্বর নিজের দায়ের করা ধর্ষণ মামলার শুনানিতে আদালতে যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশের উন্নাও-এর ওই নারীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে অভিযুক্তরা। আর ধর্ষণের পর রাজস্থানে ছয় বছরের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
ধর্ষণের পর হত্যার এসব ঘটনায় ফুঁসছে ভারত। দোষীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও কলকাতাসহ বিভিন্ন শহর। ক্ষোভের ঝড় উঠেছে দেশটির পার্লামেন্টেও। বিক্ষোভকারীরা যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দ্রুততম বিচার ও সাজার মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে।