admin
প্রকাশ: ২০১৯-১২-০৫ ১৮:০৪:০৯ || আপডেট: ২০১৯-১২-০৫ ১৮:০৪:০৯
রাকিব উদ্দি, বিনোদন ডেস্কঃ স্টার্ক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা দুই বন্ধু জাফরুল হাসান শান্ত এবং মোঃ নাহিদুল ইসলাম ইমন। তাঁদের দুইজনের পরিচয় হয় ২০১৭ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামের একটি উৎসবে।
ভলান্টিয়ার হওয়ার সুবাদে দুইজনের পরিচয় হয়েছিল। অক্টোবরে পরিচয়ের পর দুইজনের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ল, সম্পর্ক ও দৃঢ় হওয়া শুরু করলো।
নভেম্বরে বুক ক্লাবের মাসিক সভার পর ইমন এবং শান্ত হেঁটে হেঁটে আড্ডা দিয়ে প্রবর্তক থেকে শিল্পকলার দিকে যাওয়ার সময় শান্ত ইমনকে প্রশ্ন করলো “ভাইয়া আপনি তো প্রায় ক্লাস এইট থেকে সামাজিক কাজ করেন, আপনার মতে কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে?
ইমন বললো “দেখ আসলে এইরকম সামাজিক কাজ করে কখনো সমাজ পরিবর্তন হয় না, আমরা নিজেরা পরিবর্তন হলেই সমাজ পরিবর্তন হবে”। শান্তর ও ইমনের কাছে এই কথার একটা বিশালতা ফুটে উঠলো এবং বলা যায় সেদিনের পর থেকেই শুরু হয় স্টার্ক বাংলাদেশ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা নিয়ে কাজ শুরু করা হয়। স্টার্ক বাংলাদেশের ফাউন্ডার দুইজন মোঃ নাহিদুল ইসলাম ইমন এবং সৈয়দ জাফরুল হাসান শান্ত।
স্টার্ক বাংলাদেশ মূলত তাঁদের জন্য তৈরী করা হয়েছে যাদের সবসময় শুনতে হয় “স্কুল/কলেজে অর্গানাইজেশনের কাজ কে করে, এসব তো ভার্সিটিতে উঠলে করবা”।
এই কথা গুলো অনেক ছাত্র’র শুনতে হয়, তাই স্টার্ক বাংলাদেশের টার্গেট থাকে জেএসসি, এসএসসি পরবর্তী ছুটিতে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা।
(স্টার্ক বাংলাদেশে অষ্টম ও নবম শ্রেণী থেকে প্রায় অনার্স ৩য় বর্ষের বিভিন্ন স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আছে) এছাড়াও চট্টগ্রাম, ঢাকা, খাগড়াছড়ি মিলিয়ে বর্তমানে ৬০-৭০ জন সদস্য থাকলেও প্রায় ১০০-১২০ জন ভলান্টিয়ার স্টার্ক বাংলাদেশে কাজ করেছে।
স্টার্ক বাংলাদেশ মূলত একটি তরুণ সংগঠন। স্টার্ক বাংলাদেশ বিভিন্ন সেক্টর নিয়ে কাজ করে যেমন:- সামাজিক, স্কিল, ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট, ফটোগ্রাফি ইত্যাদি৷ স্টার্ক বাংলাদেশের অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ হলো “প্রজেক্ট সূচনা” নামক একটি প্রজেক্ট, যেটির দ্বারা ২০১৯ সালের জুলাই মাসে তারা ২ জন মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার মধ্যে একজন আগে মহাজনের রিক্সা চালাতো, এবং প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া দিয়ে দিতে হতো, তাই স্টার্ক বাংলাদেশ তাঁকে নতুন রিক্সা কিনে দেয়। এবং আরেকজন মহিলাকে টেইলার্সের জন্য মেশিন ও যাবতীয় জিনিসপত্র কিনে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করে। মহিলাটি আগে ভিক্ষা করে জীবনযাপন করতেন।
স্টার্ক বাংলাদেশের ইচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায় স্টার্ক বাংলাদেশ ছড়িয়ে পড়বে এই ম্যাসেজ নিয়ে যে ” নিজেরা পরিবর্তন হলে পরিবর্তন হবে সমাজ, পরিবর্তন হবে বাংলাদেশ”।
স্টার্ক বাংলাদেশ আগামীতেও নিজেদের লিডারশীপ স্কিল, সামাজিক সচেতনতা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে।
এখন পর্যন্ত ফান্ডিং সকল সদস্যরা মিলে ভাগাভাগি করে করা হয়ে থাকে। সদস্যদের বাবা-মায়েরা এবং কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীও আছেন যারা স্টার্ক বাংলাদেশকে ফান্ডিং এর ক্ষেত্রে সাহায্য করে আসছেন। মূলত এভাবেই স্টার্ক বাংলাদেশের ফান্ডিং হয়ে থাকে।
স্টার্ক বাংলাদেশের অনেকবার বাধা বিপত্তি এসেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আমরা যখন সমাজে ভালো কাজ করার চেষ্টা করছি, তখন আমাদের বয়সী অনেকেই আমাদেরকে নিরুৎসাহিত করে যাচ্ছিল।
অনেক সময় কোথাও ভালো কাজের জন্য অনুমতি নিতে গেলেও সমস্যা হয়েছে। আমাদের পরিবার থেকে প্রায়ই কটু কথা শুনতে হয়েছে। এমনকি আমাদের কয়েকজন পরিবার থেকে একপ্রকার লুকিয়ে কাজ করে যাচ্ছে নিজের জন্য আর আমাদের তো লক্ষ্যই হলো নিজের জন্য কাজ করবো, সমাজেরও পরিবর্তন হয়ে যাবে।
স্টার্ক বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো সমৃদ্ধ হতে চাই। স্টার্ক বাংলাদেশ আগামীতে তথাকথিত তরুণ কিংবা সামাজিক সংগঠন গুলোর মত কাজ করা থেকে বিরত থেকে ক্রিয়েটিভ কিছু করার দিকেই মনযোগী।
তারই ধারাবাহিকতায় স্টার্ক বাংলাদেশ আগামী নভেম্বরের শেষের দিকে তরুণদের জন্য একটি ম্যাগাজিন নিয়ে কাজ করছে।
স্টার্ক বাংলাদেশের বোর্ড মেম্বারের মধ্যে রয়েছে ফাউন্ডার এন্ড প্রেসিডেন্ট, মোঃ নাহিদুল ইসলাম ইমন। ফাউন্ডার এন্ড জেনারেল সেক্রেটারি,সৈয়দ জাফরুল হাসান শান্ত।ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফারদিন রিয়াসাদ খান তাইসির।
অর্গানইজিং সেক্রেটারি, উম্মে হাবিবা বৃষ্টি।
হিউম্যান রিসোর্স, পৃথুলা চৌধুরী।
প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর, শাহাদাত হোসেন বাধন।