, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

মাওঃ মামুনুল হকের উচিৎ ডঃ জাকির ও আজহারী নয়, কওমীদের ঐক্যবদ্ধ করতে মনোনিবেশ করা”

প্রকাশ: ২০২০-০১-২৬ ১০:৪৮:৫২ || আপডেট: ২০২০-০১-২৬ ১২:৩১:৪৮

Spread the love

আবুল কাশেম, মুক্তমত ডেস্কঃ মাওলানা মামুনুল হকের বক্তব্যে মুমিন মানুষগুলোর হৃদয়ে রক্তহ্মরন শুরু হয়েছে।

গত ক,দিন আগে মাওলানা মামুনুল হকের একটি বক্তব্য ইউটিউব ও ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি, তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠে গোটা সোশ্যাল মিডিয়ায়।

যে বক্তব্যে তিনি পরোক্ষভাবে ডঃ জাকির ও ডঃ মাওলানা মিজান আজহারীকে মেনশান করে মোনাফেক বলে চিন্হিত করার চেষ্টা করেছেন।

যদিও গতকাল শনিবার মাওলানা মামুনুল হক ফেইচবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন ভিন্ন কথা। ( নীচে লিংক দেওয়া আছে)

উনার স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হল।
(মুহাম্মাদ মামুনুল হক

15 hours ago

এবার ক্ষ্যান্ত দিন…!

… এ জন্যই আমি অপরিচিত ইউটিউবারদেরকে আমার বয়ান রেকর্ড করতে দিতে চাই না ৷ তাদের অনেকেই নিজেদের সামান্য ভিউয়ার বাড়ানোর স্বার্থে যুদ্ধ বাধিয়ে দিতেও ইতস্তত করে না ৷ ইতিপূর্বে সরকারীভাবে ওয়ায়েজদের নামের তালিকা প্রণয়নের সময়ও লক্ষ করেছিলাম, আলোচকের আলোচনার উপর ইউটিউবারদের জুড়ে দেয়া মনগড়া শিরোনামগুলোই বড় সমস্যা তৈরি করছে ৷ আমি এমনিতেও ইসলামপন্থীদের পারস্পরিক শাখাগত মতবিরোধপূর্ণ বিষয় নিয়ে খুব একটা কথা বলি না ৷ যে কোনো পন্থী কোনো আলেমের উপরই ব্যক্তিআক্রমন আমার স্বভাব নয় ৷ আমি একটি ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন নিয়ে পথ চলি ৷ আমার প্রধান প্রতিপক্ষ হল নাস্তিক-মুরতাদ ও সেই সকল মতবাদীরা যারা সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার বিরোধী ৷

যেই আলোচনার শিরোনামকে কেন্দ্র করে কিছু ভাই বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন, তাতে আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল মুসতাশরিকীনদের বিষয়ে জাতিকে সতর্ক করা এবং নিজেদের পরিচিত আমলদার হক্কানী ওলামায়ে কেরামের মত ও পথের অনুসরণের আহ্বান জানানো ৷ পবিত্র কুরআনেই তো বলা হয়েছে-
اطيعواالله واطيعواالرسول واولى الامر منكم
আনুগত্য কর আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল সঃ ও উলুল আমরদের ৷ আর উলুলআমরের দ্বারা অনেক মুফাসসিরগণই আমলদার ওলামায়ে কেরামকে উদ্দেশ্য নিয়েছেন ৷ তাহলে আলেমদের অনুসরণ করতে বলা কি ভুল?

মূলত কিছু অতিউৎসাহী লোক আমার আলোচনা না বুঝে আলোচনার উপর ইউটিউবারের জুড়েদেয়া শিরোনাম দেখেই আদাপানি খেয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন ৷ আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন ৷ আমীন ৷)

কিন্ত উনার বক্তব্য শুনে যে বিষয়টি স্পষ্ট, সেটি হল তিনি হকের কথা বলতে গিয়ে কুরআন হাদীসের দলিল না থাকলে বাতিল যেমন বলেছেন (সঠিক)।

তেমনি কুরআনের আয়াতের পর আয়াত ও হাদীসের দলিল দিয়ে যারা ওয়াজ বা তাফসীর করে এবং উল্টো ফতোয়া দেয় (উনার ভাষা) তারা মোনাফেক।

ভিডিও লিংকটি নীচে দেওয়া আছে।

আশা করি, আপনি এই বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন এবং যারা কুরআন সুন্নাহ থেকে কথা বলে তাদের ভুল অবশ্য শুধরে দিবেন, কিন্তু দয়া করে বিভেদ মতবিরোধ সৃষ্টি করে ইসলামের ক্ষতি করবেন না।

কারণ, পুরো বিশ্বে মজলুম জাতির নাম মুসলিম, তাদের উদ্ধার করার কেউ নেই, অথচ দিন দিন আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ বেড়ে চলছে।

ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার বক্তব্য নিয়ে ঝড় বইছে, এবং হাত তালি দিচ্ছে বাম রাম নাস্তিকরা ।

ডঃ জাকির নায়েক ও মাওলানা ডঃ মিজান আজহারীরা যদি মোনাফেক হয়, অচিরেই হারিয়ে যাবে, ইতিহাস সাক্ষী ইসলাম নিয়ে কোন কালেই মিথ্যাচারীরা মাঠে স্থায়ী হতে পারেনি।

কিন্তু, মাজারপন্হী, আহলে বিদায়াতপন্হী, কথিত সুন্নী, চরমপীর, ইত্যাদি গোষ্ঠীর সাথে সুর মিলিয়ে যখন মাওলানা মামুনুল হকরা কথা বলে, তখন দেশের হকপন্হী মানুষরা হতাশা আর কষ্ট অনুভব করে।

আমি নিজেও মাওঃ মামুনুল হককে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতাম, কিন্তু ওনার রাগান্বিত কটু বক্তব্য শুনার পর যেন আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে চিৎকার দিয়ে বললাম, #মাবুদ_মুসলমানদের_কি_হবে_?

প্রিয় ভাই” মামুনুল হকের উচিৎ কওমীদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য মনোনিবেশ করা।

কারণ, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী দল উপদলে বিভক্ত কওমীরা।

উচিৎ নয় ডঃ জাকের নায়েক ও মাওলানা আজহারীর পিছনে লেগে থাকা।

সর্বশেষ বলতে চায়, কারো প্রতি ভালবাসা বা কারো প্রতি বিরাগ হয়ে নয়, আল্লাহ ও রাসুল (সঃ) প্রতি ভালবাসা এবং মুসলিম বিশ্বের মজলুম এই জাতির ক্রান্তিলগ্নে ঈমানের অনিবার্য দাবীর অংশ হিসেবে আমার এই লেখা।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের হেদায়েত সহকারে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তৌফিক দিন। আমিন।

লেখকঃ প্রবাসী কলামিস্ট।

https://youtu.be/CUOdwvYvtg4

Logo-orginal