jamil Ahamed
প্রকাশ: ২০২০-০১-০২ ১৯:৫৩:৩১ || আপডেট: ২০২০-০১-০২ ১৯:৫৩:৩১
‘আমি পারতাম না, আব্বা আমি পারতাম না। আমারে তুমি দুই দিনের মধ্যে দেশে নেওয়ার ব্যবস্থা কর। নাইলে আমার যে কি হইব আমি বুঝতাছি না। প্রত্যেক দিন আমারে তারা চড়-থাপ্পড়-লাথি মারে। আমারে দিনে একটা শুকনা রুটি দেয়। আমার জীবন বাচাঁও আব্বা। আমি বিদেশ থাকতে চাইচান” খবর কালের কন্ঠের ।
একজন জর্ডান প্রাবাসী নারী শ্রমিকের কথা এগুলো। শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যাওয়া খাদিজা বাথরুম থেকে ইমুতে ভিডিও কল করে তারা বাবার সঙ্গে এই কথাগুলো বলেন।
গত বুধবার গভীর রাতে কথাগুলো বলার পর আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তার সঙ্গে। খাদিজার বাড়িতে মা-বাবা-ভাই-বোনদের কান্না আর আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে পড়েছে। বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন তার বাবা-মা।
জানা যায়, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের দিন মজুর মরম আলীর মেয়ে মোছা. খাদিজা আক্তার (১৬)। তাকে উপজেলার আমরুট গ্রামের দালাল সুন্দর আলীর ছেলে আলফি মিয়া ঢাকার পুরানা পল্টনের ফোর স্টার ইন্টারন্যাশনাল লি. এর মাধ্যমে ১৭ দিন আগে জর্ডান পাঠান। অভাবের তাড়নায় দালালদের মাধ্যমে মরম আলী খাদিজাকে জর্ডান ও তার বড় মেয়ে সুমি আক্তারকে (২০) সৌদি আরব পাঠান। খাদিজার সঙ্গে একদিন কথা হলেও সুমির সঙ্গে ২৭ দিন ধরে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই। সুমিকে সৌদি পাঠানের দালাল উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মরম আলীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
মরম আলী বলেন, সরকারের মাধ্যমে সন্তানদের দেশে ফেরত আনতে চান। এই জন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। খাদিজার বোন নবম শ্রেণির ছাত্রী তাছলিমা আক্তার বলে, তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় থানায় অভিযোগ করতে সময় লাগছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য
ShareTweet
সাতদিনের