, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

মোদি বিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কি ?

প্রকাশ: ২০২০-০৩-০৫ ০১:০৮:৩২ || আপডেট: ২০২০-০৩-০৫ ০১:০৮:৩২

Spread the love

এহসানুল হকঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রস্তুত। সরকার তাকে বানিয়েছে মুজিববর্ষ অনুষ্ঠানের মধ্যমনি, প্রধান বক্তা। তাউহিদি জনতা ঘোষণা দিয়েছে মোদীর আগমণ রুখতেই হবে। সবাই যখন হার্ড লাইনে তাহলে সামনের দিনগুলোতে কি হবে?

সামনের দিনগুলোতে কি হবে বলা যায় না। কট্টোর আওয়ামী ছাড়া সবাই যেহেতু এক কাতারে। তাই সরকার ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করবে। দমন পীড়ন এর পথে হাঁটবে না। ম্যানেজ করার চেষ্টা হবে। কিছু পক্ষ ম্যানেজ হয়ে গেলেও এই গণদাবি থেকে সবাইকে সরিয়ে ফেলা যাবে না। সবাই বিক্রি হবে না। আপোষহীন কিছু মানুষের নেতৃত্বে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ ।

এটা সত্য, যত আন্দোলনই হোক সরকার চাপের মুখে পরে দাওয়াত বাতিল করে দিবে এটা কখনোই হবে না। সরকার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাকে আনার চেষ্টা করবে। তবে তাউহিদি জনতা যদি আন্দোলন অব্যাহত রাখতে পারে, পরিস্থিতি যদি উত্তাল হয়ে উঠে তাহলে মোদী নিজেই সফর বাতিল করতে পারে। সেটাই হবে চূড়ান্ত সফলতা।

সেটাও যদি না হয়, মোদী যদি এসেই পরে তাহলেই কি আন্দোলন ব্যর্থ? তবুও এই আন্দোলনকে আমি ব্যর্থ বলতে রাজি নই।

ভারতের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ার অপরাধে যখন আবরার ফাহাদরা খুন হয়, তখন মোদীর বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষ রাজপথে নামছে এটা কি সফলতা নয়?

মোদীর কাছে যখন পরিস্কার এই বার্তা পৌছে যায়, এদেশের জনগণ তাকে চায় না। সেটাই বা কম কি?

সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে সারা ভারতের মানুষ যখন জানছে, মোদীর আগমন ঠেকাতে আন্দোলন হচ্ছে, এটাই তাদের গায়ে চপেটাঘাত।

হুংকার ছেড়ে লাভ নাই, মোদি আসবেই। এসব বক্তব্য শুনে হতাশার কিছু নেই। মুসলিম নিযার্ততের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। শান্ত শিষ্ট আন্দোলনের মাধ্যমে পৃথিবীতে কোন দাবি পুরা হয়নি।

যাদের হুংকার দেয়ার সামর্থ আল্লাহ পাক দিয়েছেন, তারা হুংকার দিবেই। কেউ দাবায় রাখতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
সুত্রঃ একুশে জার্নাল।

Logo-orginal