jamil Ahamed
প্রকাশ: ২০২০-০৪-০৭ ২১:৪১:৪২ || আপডেট: ২০২০-০৪-০৭ ২১:৪১:৪২
ইসমাঈল হোসেন নয়ন, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ বাড়ির আসা যাওয়া পথের সমানে বাঁশের বেরিকেড দেয়া। তাতে একটি সাইবোর্ড ও একটি লাল পতাকা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সাইনবোর্ডটিতে লেখা রয়েছে, এলাকা লকডাউন, দয়া করে কেউ আসা যাওয়া করবেন না।
আজ মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনই বাঁশের বেরিকেড ও সাইনবোর্ড চোখে পড়ে।
প্রশাসন এখনও লকডাউনের নির্দেশনা না দিলেও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কিছু ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে নিজেদের উদ্যোগেই নিজেরা বা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের পাড়া-মহল্লা লকডাউন করেছে। করোনাভাইরাস রোধে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার. মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সচেতনতা সৃষ্টি করতে নানাভাবে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। এতে সেনাবাহিনীও সহযোগিতা করছে।
তবে দেখা যায়, কিছু এলাকা লকডাউন করা হলেও করোনাভাইরাস নিয়ে লকডাউনের আওতাভুক্ত অধিকাংশ জনগনের মধ্যে তেমন একটা আতঙ্ক নাই। গাড়ি চলাচল ছাড়া সব কিছুই স্বাভাবিক।
পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড মুরাদ নগর গ্রামের রাস্তা লকডাউন হওয়ার ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা মানবাধিকার নেতা মোর্শেদুল আজিম চৌধুরী খোকন বলেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় এবং বাইরের মানুষ ডুকতে না পারে মতো নিজ উদ্যোগে আমাদের গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে।
হোছনাবাদ ইউনিয়নের মধ্যম পাড়া লকডাউন কাজের সাথে সম্পৃক্ত জুয়েল নামে এক যুবক বলেন, আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। সবখানেই আবাধে ঘোরাফেরা চলছে। যে কারো মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। সেজন্য মধ্যমপাড়া সান রাইজ ক্লাব ও এলাকাবাসির যৌথ উদ্যোগে আমরা আমাদের এলাকা লকডাউন করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে এখনো কোন এলাকা লকডাউন করার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তবে তারা এটা নিজেদের উদ্যোগেই করেছেন। মানুষ যাতে ঘরে থাকে সে বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা। বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্বেচ্ছায় উপজেলার কয়েকটি গ্রাম লকডাউন করেছে বলে শুনেছি। তবে, সরকারিভাবে উপজেলায় কোন বাড়ী,পাড়া ও গ্রাম লকডাউন করা হয়নি।