admin
প্রকাশ: ২০২০-০৫-১৭ ১৭:১৭:১১ || আপডেট: ২০২০-০৫-১৭ ১৭:৫৪:০৯
শরীফ আল হাসান (বিশেষ প্রতিবেদক): সুর্য্যের ও লকডাউন হতে পারে? বিষয়টি ভাবনার জগতকে ভাবিয়ে তুলতে পারে।
আসছে ভয়ঙ্কর দুর্যোগ তথা দীর্ঘ কালীন শীতকাল পৃথিবী জুড়ে। নভেল করোনার মহামারির মধ্য সুর্য্যের এই মহা কান্ডের খবর দিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা ।এটি সুর্য্যের একপ্রকার লকডাউন বলেই তারা ধারনা করছেন।
এর ফলে বিশ্বে তাপমাএা কমে যাবে,পৃথিবীটা হয়ে যাবে আর ও শীতল ও বরফের পাহাড়ে ভরপুর। এ ছাড়া পৃথিবীজুড়ে ভুমিকম্প ও দুর্ভিক্ষের মত ভয়ংকর দুর্যোগ দেখা দিতে পারে, সম্ভাব্য এই খবরের তথ্য দিয়েছে নিউইয়র্ক পোষ্ট।
অন্যদিকে আমেরিকার সামনে সবচেয়ে ‘সবচেয়ে ভয়ংকর শীতকালের’ মুখোমুখি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির সাবেক এক শীর্ষ স্বাস্হ্য কর্মকর্তা।
তার ভাষ্য, সুর্য্যের তাপ কমে আসার কারনে যুক্তরাষ্ট্র তার ইতিহাসের এক ভয়াবহ শীতকালের মুখোমুখি হতে চলেছে। নিউইয়র্ক পোষ্টের প্রতিবেদনটি বলেছে, সুর্য্যের বর্তমান তার “সোলার মিনিমাম” পরিস্হিতির মধ্য রয়েছে।
এর ফলে পৃথিবীতে সুর্য্যের স্বাভাবিক সময়ে সরবরাহ করা তাপমাএা অনেক কমে গেছে। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি সুর্য্যের স্বাভাবিক কার্যকলাপ নাটকীয় হ্রাস পেয়েছে। ” এ কারনে বিশ্ববাসী সামনে এমন এক গভীরতম সময়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে, যে সময়ে সুর্য্যের আলো কার্যত অদৃশ্য হয়ে যাবে’- বলছেন বিশ্বখ্যাত জ্যোর্তি বিজ্ঞানী ড. টনি ফিলিপস।
সুর্য্যের এই লকডাউনে যাওয়ার ঘটনাকে ‘ডাল্টন মিনিমাম’ এর পুনরাবৃত্তি হিসাবে ধারনা করা হচ্ছে। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১৭৯০ এবং ১৮৩০ এর মধ্য সুর্য্যের মিনিমাম সোলারের কারনে নির্মম শীতের মুখে পড়েছিল পৃথিবী।
এছাড়া ফসলের ক্ষতি,দুর্ভিক্ষ, এবং শক্তিশালী আগ্নেয়গীরির অগ্নিপাত ওই দুই মহাঘটনা বিজ্ঞানীদের কাছে ডাল্টন মিনিমাম হিসাবে চিন্হিত। ওই সময়ে ২০ বছরের ও বেশি সময় ধরে মাএ ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস ( ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট) তাপমাএায় ডুবে ছিল পৃথিবী।
ড. ফিলিপস বলেছেন: সুর্য্যের সোলার মিনিমাম হতে চলেছে,এটি অত্যান্ত গভীর। সানস্পট গণনাগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে এটি বিগত শতাব্দীর সবচেয়ে গভীরতম অবস্হানে রয়েছে।সুর্য্যের চৌম্বকীয় শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর মানে হলো সৌরজগতে অতিরিক্ত মহাজাগতিক শক্তির প্রবেশের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সৌরজগতে অতিরিক্ত মহাজাগতিক রশ্নির প্রবেশ করলে নভোচারি ও মরু অঞ্চলের জন্য তা হবে অত্যন্ত বিপদজনক।
এছাড়া এটি পৃথিবীর উপরে বায়ুমণ্ডলের বৈদ্যুতিক রসায়নকে প্রভাবিত করে এবং বজ্রপাত ও বাড়াবে’-নিউইয়র্ক পোষ্টকে বলেছেন ড.টনি ফিলিপস। মহাঘটনা বিজ্ঞানীদের কাছে ডাল্টন মিনিমাম হিসাবে ধরা হয়।
এছাড়া ১৮১৫ সালের ১০ ই এপ্রিল দুই হাজার বছরের মধ্যৎ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্নিপাতের ঘটনা ঘটেছিল।
ইন্দোনেশিয়ার তামবোরা পর্বতশৃঙ্গে ঘটা সেই অগ্নিপাতে মুহুর্তে অন্তত ৭১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। পরের বছর ১৮১৬ সালের গ্রীষ্মকালীন সময়েও ছিল প্রবল শীত।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বছর সুর্য্যের সানস্পট ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত ফাঁকা দেখা গেছে, মহাকাশ যুগে এমন ঘটনা মাএ একবার ঘটেছে। সুএ: নিউইয়র্ক পোষ্ট অবলম্বনে।