admin
প্রকাশ: ২০২০-০৮-০২ ১৮:১৭:০১ || আপডেট: ২০২০-০৮-০২ ১৮:১৯:৪১
জয়নাল আবেদীন( জুয়েল)ঃ মাস্কেট,ওমান
বর্তমান সময়ে মধ্যপ্রাশ্চ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের অবস্থা শোচনীয়। করোনা ভাইরাস নামক মহামারীর কবলে চাকরি হারিয়ে দিশেহারা প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকরা।
একদিকে প্রবাসে নিজের খরচ এবং অন্যদিকে পরিবার পরিজনদের চাহিদা পূরন সব মিলিয়ে প্রবাসীরা এক মানুষিক চাপ নিয়ে জীবন যাপন করছে। প্রবাসে কাজ না থাকায় রুম ভাড়া, কপিলের ফয়দা, খাওয়া খরচ এসব কিছু প্রবাসীদের স্বাভাবিক জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। করোনার কারনে বিভিন্ন কর্মসংস্থান বন্ধ হওয়ার কারনে চাকরী হারিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন বাংলাদেশী প্রবাসীরা। বাংলাদেশ সরকার থেকে বাজেটকৃত প্রনোদনা প্রবাসীদের সংখ্যার তুলনায় অত্যান্ত সীমিত হওয়ার কারনে বেশিরভাগ প্রবাসীদের সরকার কতৃক প্রনোদনা কাজে আসেনি কিংবা প্রবাসীদের কাছে পৌছেনি। অপরদিকে অবৈধ প্রবাসীরা দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য মিনতি করছেন সরকারের প্রতি। ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাশ্চের বিভিন্ন দেশ থেকে আটকে পড়া প্রবাসীদের বাংলাদেশ সরকার ফিরেয়ে নিয়েছেন। বিশেষ ফ্লাইটের নামে প্রবাসীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্যে টিকেট বিক্রি করছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।বর্তমান মহামারির কারনে বিদেশ ভ্রমনে করোনার নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করার কারনে প্রবাসীদের দিতে হচ্ছে টিকেটের পাশাপাশি করোনার নেগেটিভ সনদের মূল্য। একদিকে কর্মহীনতা এবং আরেকদিকে অতিরিক্ত খরচের কারনে বিদেশে প্রবাসীরা হিমসিম খাচ্ছে।
অপরদিকে ছুটিতে গিয়ে আটকে পড়া প্রবাসীরা বিদেশ ভ্রমনে আশা নিয়ে দিন গুনছে।বর্তমান পরিস্থিতির কারনে দেশ ও বিদেশে সব জায়গায় স্বাভাবিক জীবন যাপনে বিঘ্ন ঘটছে। প্রবাসীদের এই সংকট সময়ে বিমান বন্দর উন্নয়ন ফি ধার্য করা এই যেন এক অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন সরকার।
দেশের উন্নয়নে শুধু প্রবাসীদের এগিয়ে আসতে হবে কেন? দেশ ও জাতির উন্নয়নে প্রত্যেক নাগরিককে এগিয়ে আসা উচিত এবং সরকারের উচিত প্রত্যেক বিওবানের উপর এই উন্নয়ন ফি ধার্য করা। করোনাকালীন মূহুর্তে প্রবাসীরা এমনিতে হতাশায় ভুগছেন তার উপর রাষ্ট্রের এমন অমানবিকতা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা প্রবাসীরা। বাংলার রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আজ নির্যাতন এবং শোষনের শিকার। সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে তাদের উপর আরোপিত এমন সিদ্ধান্ত সত্যিই বেমানান।