, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

চবি IER এর ফার্স্ট ব্যাচের অনার্স-মাস্টার্স দুটোতেই ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট মেধাবী আঃ মান্নান

প্রকাশ: ২০২০-০৯-২৪ ১৫:৪০:৫৫ || আপডেট: ২০২০-০৯-২৪ ১৭:৩৩:২৫

Spread the love

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট এর প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল মান্নান। অতি সাম্প্রতি প্রকাশিত মাস্টার্স এর ফলাফলে বরাবরের মতই প্রথম হয়েছেন সাতকানিয়ার এ কৃতি সন্তান আবদুল মান্নান।
তাঁর জন্ম চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছোটহাতিয়া গ্রামে। পিতা হাজী আহমদ উল্লাহ এবং মাতা হোছনে আরা বেগম এর তৃতীয় সন্তান সে। গ্রামেই তাঁর বেড়ে ওঠা।
তিনি ২০১০ সালে মির্জাখীল দাখিল মাদ্রাসা থেকে জিপিএ ৫ এবং ২০১২ সালে সাতকানিয়া সরকারী কলেজ থেকে জিপিএ ৪.৯০ নিয়ে মানবিক বিভাগে কলেজে প্রথম হয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি অর্জন করেন।

২০১২-১০১৩ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে প্রথম ব্যাচে ভর্তি হয় আবদুল মান্নান। ২০১৬ সালের অনার্স চুড়ান্ত পরিক্ষায় তিনি ৩.৬৬/৪ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আঠারো জনের ট্যালেন্টপুল স্কলারশিপের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন। অতি সাম্প্রতি প্রকাশিত মাস্টার্স এর ফলাফলেও ৩.৭৫/৪ পেয়ে তিনি প্রথম স্থান অর্জন করতে সক্ষম হন।

ট্যালেন্টপুলে বৃত্তির অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি জানান “বৃত্তি পাওয়ার অনুভুতি বরাবরেই আনন্দের এবং উৎসাহের। মনেহয় পরিশ্রমের স্বীকৃতি পাই। সামনে এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ যোগায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা বেতনে অধ্যয়ন এবং পড়াশুনার জন্যে সরকারের কাছ থেকে স্টাইপেন্ড পাওয়াটা আমি খুব ভাগ্যের ব্যাপার মনে করি।”
ভবিষ্যতে কী করার ইচ্ছা জানতে চাইলে আবদুল মান্নান জানান- ” শিক্ষা বিভাগে পড়াশুনা করেছি।এখন বিদেশ থেকে এ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে ইচ্ছুক। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে জ্ঞান অর্জেনর সুযোগ হয়েছে তাই মনেকরছি অর্জিত জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগের সময় এখন। তাই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে। তাছাড়া আমার মায়ের ইচ্ছে আমি শিক্ষকতা করি। তাই এই পেশায় আগ্রহ খুব বেশি।”

তিনি আরো বলেন, ‘এ পর্যন্ত আসতে আমার মা বাবাসহ আমার বড় শ্রদ্ধেয় ভাই এবং স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনেক দিক নির্দেশনামূলক সহযোগিতা পেয়েছি। যা আমাকে স্বপ্ন দেখতে এবং স্বপ্ন পূরণ করতে প্রতিনিয়ত সহায়তা করেছে। আশা করি আজীবন তাঁদের কাছে এই সহযোগিতা পেয়ে যাব। উচ্চশিক্ষার বিষয়ে অনেক আগ্রহী আমি। সুযোগ পেলে নিজের বিষয়ের ওপর ডিগ্রি নেওয়ার চেষ্টা করব।’

Logo-orginal