admin
প্রকাশ: ২০২০-০৯-২৬ ২১:৪৪:৪৯ || আপডেট: ২০২০-০৯-২৬ ২১:৪৫:১২
ছবি, আটক ধষর্ক মনোয়ার ও সহযোগী শিল্পী ।
ঢাকা; রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ স্বামীর জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব-২। আটকরা হলেন- অভিযুক্ত ধর্ষক মো. মনোয়ার হোসেন ওরফে সজীব (৪৩) ও তার সহযোগী মাশনু আরা বেগম ওরফে শিল্পী (৪০)।
শুক্রবার রাতে মিরপুরের মধ্য মনিপুর পাড়াস্থ শিফা ভিলার তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিন বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ ঘটনা ঘটেছে। ওই দিন বিকেলে ভুক্তভোগীর স্বামী হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ভর্তি করেন। পরে দায়িত্বরত ডাক্তার তার স্বামীর জন্য রক্ত প্রয়োজন জানিয়ে জরুরিভাবে রক্তের ব্যবস্থা করার পরার্মশ দেন। তখন রক্তের সন্ধানে ভুক্তভোগী নারী হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ব্লাড ব্যাংকের সামনে গিয়ে ৩ থেকে ৪ জনকে দেখতে পান। তাদের তার স্বামীর জন্য ‘ও’ পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন জানালে তাদের মধ্যে ধর্ষক মনোয়ার হোসেন রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দেন। একদিন পরে তিনি নিজেই যোগাযোগ করেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মনোয়ার হোসেন হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক শাখার কেউ না। তিনি নিজেও একজন চিকিৎসা প্রার্থী। তার মা একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর রক্তের ব্যবস্থা হয়েছে জানিয়ে মধ্য মনিপুরের শিফা ভিলার ভাড়াটিয়া শিল্পীর বাসায় ওই গৃহবধূকে নিয়ে যান মনোয়ার। সেখানে শিল্পীর সহযোগিতায় মনোয়ার তাকে ধষর্ণ করেন। এ সময় বাঁচতে চিৎকার করলে ভুক্তভোগীর গলা চেপে ধরে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। ভুক্তভোগী নারী লোকলজ্জার ভয় ও স্বামীর অসুস্থতার কারণে বিষয়টি গোপন রাখেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভিকটিমের স্বামীর মোবাইলে কল করে রক্তের ব্যবস্থা হওয়ার কথা জানিয়ে ভুক্তভোগীকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পাঠানোর কথা বলেন মনোয়ার। তখন শান্তা আবারও ধর্ষিত হওয়ার ভয়ে স্বামীকে ধষর্ণের বিষয়টি খুলে বলেন। পরে তারা দুজন র্যাব-২ এর কার্যালয়ে এসে অভিযোগ করলে অভিযুক্তদের মিরপুর থেকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা র্যাবের কাছে মনোয়ার ধর্ষণ ও শিল্পী সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছেন। তারা আরও জানান, মনোয়ারের সঙ্গে শিল্পীর র্দীঘদিন ধরে অবৈধ সর্ম্পক রয়েছে। তারা একে অন্যকে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ কাজে সহযোগিতা করেছে। সুত্র: আমাদের সময় কম ।