, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

আল্লাহ আজারবাইজানকে সাহায্য করুন, আর্মানিয়াকি রুশ মার্কিণ ফ্রান্স অস্ত্র দিচ্ছে,

প্রকাশ: ২০২০-১০-১৮ ২২:৫১:৩৩ || আপডেট: ২০২০-১০-১৮ ২২:৫১:৩৫

Spread the love

আজারবাইজানের সঙ্গে সংঘাতে আর্মেনিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে (ওএসসিই) মিনস্ক গ্রুপ- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ফ্রান্স। এ সংঘাতে তাদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে এই দেশগুলো।

রোববার সিরনাক প্রদেশে ক্ষমতাসীন দল একে পার্টির কংগ্রেস সভায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান এমন অভিযোগ করেন। এ খবর জানিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক।

তিনি বলেন, অতীতে কী ঘটেছিল ইরাক, সিরিয়া এমনকী বলকানসে; লিবিয়া ও কারাবাখ এখন আমাদের দেখিয়েছে কীভাবে বৈষম্য, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং ক্ষুদ্র লাভের চেষ্টা রক্ত ও অশ্রু ছাড়া কিছুই বয়ে আনেনি।

আপার কারাবাখ সংঘাত শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসার জন্য দি অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই) মিনস্ক গ্রুপ ১৯৯২ সালে গঠন করা হয়েছিল, তবে এতে কোনো উপকার হয়নি।

‘আর্মেনিয়ার বিপক্ষে আমাদের আজারবাইজানের ভাইয়েরা বর্তমানে খুবই গুরুতর প্রতিকূল অবস্থায় যুদ্ধ করছে। তারা কেন প্রতিকূল অবস্থায় যুদ্ধ করছে? কারণ তারা আর্মেনিয়ার দখল থেকে আজারবাইজানের ভূখণ্ড মুক্ত করছে।’ এরদোগান প্রশ্ন রেখে বলেন, তারা প্রাকৃতিকভাবে এটা করতে পারে না?

তুর্কি প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ফ্রান্স ৩০ বছর ধরে এ সমস্যার সমাধান করেনি এবং তারা আজারবাইজানি জনগণকে তাদের ভূমি হস্তান্তর করেনি।

এরদোগান বলেন, এখন আজারবাইজানি ভাইয়েরা প্রতিকূল অবস্থায় যুদ্ধ করে তাদের অধিকৃত অঞ্চল মুক্ত করছে। আল্লাহ তাদের সাহায্য করুন। আমি বিশ্বাস করি তারা ফিরে আসবে এবং আর্মেনিয়ার দখল থেকে অধিকৃত ভূখণ্ড মুক্ত করবে। আমরা তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আশা করি তারা সফলভাবে এটি পাবেন।

২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।

এতে উভয় পক্ষ মানবিক কারণে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবন্দিসহ অন্যান্য বন্দি বিনিময় ও মৃতদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়।

১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।

দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার রাত থেকে যুদ্ধবিরতির পরপরই গানজাতে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৫০ জন।

কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। সুত্র: যুগান্তর ।

Logo-orginal