, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

admin admin

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির গুলিতে আজও দু’জন নিহত’

প্রকাশ: ২০২১-০৩-২৮ ১৯:১৯:১২ || আপডেট: ২০২১-০৩-২৮ ১৯:১৯:১৩

Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ ও বিজিবির সাথে হরতাল সমর্থকদের সংঘর্ষে আরো দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের দেয়া তথ্যমতে এ নিয়ে তিন দিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। তবে হেফাজতে ইসলামের দেয়া তথ্য মতে, নিহতের সংখ্যা ১২ জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে হরতাল সমর্থকদের সাথে পুলিশ ও বিজিবির ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় ‘মাইকে হাইয়া আলাল জিহাদ’ (জিহাদের জন্য এসো) বলে ঘোষণা দেয়া হয়। পরে ওই ঘোষণায় শতশত মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। পরে পুলিশ ও বিজিবি গুলিবর্ষণ করে। এতে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের খাটিহাতা গ্রামের হাদিস মিয়া ওরফে কালন মিয়া (২৩) ও সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের সুফি আলীর ছেলে আল আমীন (১২) গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া শনিবার বিকেলে হরতালের পক্ষে সদর উপজেলার বুধল এলাকায় অনুষ্ঠিত মিছিলে বিজিবি ও পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হলে তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে নন্দনপুরের সাদু মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন (২২) ও অজ্ঞাতনামা (৪০) একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে শনিবার পুলিশ ও বিজিবির গুলিতে নিহত হন নন্দনপুর হারিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে ওয়ার্কশপের দোকানি জুরু আলম (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দাবিড় মিয়ার ছেলে শ্রমিক বাদল মিয়া (২৪), ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারিউড়া মৈন্দ গ্রামের জুরু আলীর ছেলে সুজন মিয়া (২২), জামেয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী কাউছার (২৪) ও জুবায়ের (২৪)। তারও আগে শুক্রবার জেলা শহরের কাউতলি এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন দাতিয়ারা গ্রামের সাগর মিয়ার ছেলে আশিক (২০)।

এ নিয়ে তিন দিনের আন্দোলনে মোট ১০ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার রানা নূরুস সামস। তবে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের দাবি অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা আরো বেশি।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও দারুল আরকান মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাজিদুর রহমান জানান, শুধু শনিবারই জেলার বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে অন্তত আটজন নিহত হয়েছে।

তাদের দেয়া তথ্যমতে নিহতের তালিকায় আখাউড়া মনিয়ন্দের মাওলানা হোসাইন (২২) ও সদর উপজেলার কলাইমুড়ি এলাকার সুলতান (৩৮) এর নাম বেশি পাওয়া যায়। ফলে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা ১০ জন নাকী ১২ জন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুত্রঃ নয়া দিগন্ত ।

Logo-orginal