admin
প্রকাশ: ২০২১-০৪-০৯ ২২:৩২:২৫ || আপডেট: ২০২১-০৪-০৯ ২২:৩২:২৮
(ছবি, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা জাবেদ )
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের বোনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের বোন ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় শুক্রবার সকালে একটি মামলাও করেছেন (মামলা নং-১২)।
মামলার এজাহারে ফাতেমা বেগম অভিযোগ করেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করের নেতৃত্বে প্রায় ৫০-৬০ সন্ত্রাসী দলবদ্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে আমার বাড়িতে হেফাজত স্টাইলে আক্রমণ এবং ভাংচুর চালায়। এ সময় বক্কর তার গুণ্ডা বাহিনীকে হুকুম দিয়ে বলে ‘শালাদের বাড়িঘর ভাংচুর কর’। এরপরই লাঠি, ক্রিকেট স্ট্যাম্প, হকিস্টিক, ধারালো ছোড়া এবং রাম দা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক তাণ্ডব।
ফাতেমা বেগম বলেন, বক্করের হুকুমের পর অপর আসামি নিরব আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে মাথায় আঘাত করতে আসে। পরে আমি প্রতিহত করলে লাঠির আঘাতে বাম হাতের কনুইতে আঘাত পাই। এছাড়াও বক্করের সঙ্গী-সাথীরা আমার হিজাব এবং পরনের পোশাক ধরে টানাটানি করে। এরপর আমার বাড়িতে অবস্থান করা দোয়া ইউনুস পাঠরত অবস্থায় থাকা অন্য মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়।
জানা গেছে, প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের স্থানীয় কিশোরদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটা সাংঘর্ষিক অবস্থা চলছিল। স্থানীয় কিশোরদের দুই গ্রুপে অসংখ্যবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। কিশোরদের একটি গ্রুপকে শেল্টার দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর এবং মামলার বাদী ফাতেমা বেগমের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সবুজ। দুই পক্ষের বিরোধের জেরেই লালমনিরহাটের সাহেব পাড়ায় এবার এমন ঘটনা ঘটল।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বক্কর। তিনি যুগান্তরকে বলেন, মামলার বিষয়টি এখনো জানি না। আমার ওপর আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমাকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করতেই প্রতিপক্ষরা আমার পেছনে লেগেছে।
মামলার বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মো. শাহ আলম যুগান্তরকে বলেন, মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর ।