admin
প্রকাশ: ২০২১-০৫-২৬ ২১:২৯:৫০ || আপডেট: ২০২১-০৫-২৬ ২১:২৯:৫১
জয়নাল আবেদীন মহেশখালীঃ- বাংলাদেশের এক মাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী উপজেলায় প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস”এর প্রভাবে মহেশখালী উপজেলার অন্তর্গত ধলঘাট, মাতারবাড়ী,
কুতুবজোমের সোনাদিয়া,ঘটিভাঙ্গা,মহেশখালী পৌর সভাসহ সড়ক,বেড়িবাঁধ,বসতবাড়ি,চিংড়িঘেরসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি,২০টি গ্রামে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জোয়ারের পানি স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে অতিরিক্ত উচ্চতায় মহেশখালীর বিভিন্ন গ্রামে পানি প্রবেশ করে।
মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতে গতকাল
গভীর রাত থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ধলঘাটা,কুতুবজোমের সোনাদিয়া ঘটিভাঙ্গা এলাকায় স্থানীয় সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় গ্রহন করে।
২৬শে মে সকালের জোয়ারে পানিতে উপজেলার
যে সকল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পানি প্রবেশ করে জনবসতি প্লাবিত হয়।
সে সকল এলাকায় উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন টেক অফিসারগণ এলাকার পরিদর্শন করেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়।
উপজেলার যে সকল এলাকা প্লাবিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে ধলঘাটা ইউনিয়নের সরইতলা মাতারবাড়ীর সাইট পাড়া, জালিয়া পাড়া ও রাজঘাট এলাকা।
মহেশখালী পৌরসভার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড চরপাড়া এলাকা,০৮ নং ওয়ার্ড পশ্চিম সিকদার
পাড়ার পূর্ব,দক্ষিণ অংশ, কুতুবজোমের ঘটিভাঙ্গা,
সোনাদিয়া,ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের তেলিপাড়া (মোহাম্মদপুর)সহ ২০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে,ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে সাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেড়েছে।
ফলে অতিরিক্ত জোয়ারের উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ধলঘাট,মাতারবাড়ী, হোয়ানক, কালারমারছড়া, বড় মহেশখালী ও কুতুবজোমের বিভিন্ন এলাকায় চিংড়ী ঘের,লবণ মাঠের জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে শাপলাপুর,কালারমারছড়া,হোয়ানক,
বড় মহেশখালী,ছোট মহেশখালীতে ইয়াসের প্রবল বাতাসের কারণে পানের বরজ নষ্ট হয়ে গেছে।
পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন-
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান, মহেশখালী পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকছুদমিয়া,
সহকারী পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম,মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃমাহফুজুর রহমান জানান-ইয়াসের সম্ভাব্য ক্ষতি ও দুর্যোগ মোকা- বিলার সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া ও পানি প্রবেশে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও পানি মজুতের ব্যবস্থা করেছি।
মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন ঘুর্ণিঝড় “ইয়াস” মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
যে সমস্ত এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ ও প্লাবিত হয়েছে তাদের তালিকা তৈরি করার জন্য স্থানীয় পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে শুকনো খাবার দেওয়া হলেও পরবর্তীতে চেয়ারম্যানদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।