, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

admin admin

মহেশখালী প্রকৃত জেলেদের তালিকা প্রণয়ন, সরকারি ত্রাণ-সহয়তা প্রদান ও মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে।

প্রকাশ: ২০২১-০৫-২৫ ১৩:৫৭:৩৬ || আপডেট: ২০২১-০৫-২৫ ১৩:৫৭:৩৭

Spread the love

জয়নাল আবেদীন,মহেশখালী: মহেশখালী উপজেলার মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা ও প্রতিবছরের ন্যায় সরকারের ৬৫ দিনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহকারী প্রকৃত জেলেরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।

নাফ-নদী মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যবর্তীতে অবস্থিত হওয়াই এই নদীকে ঘিরে একটি চোরাকারবারি চক্র দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় আছে। এখানে চোরাচালানের সম্ভাবনা সব সময় আছে এবং প্রতিনিয়ত চোরাচালান হচ্ছেও। সেটা মাদক বা অন্য কিছু হতে পারে, যেটা অতীত থেকে হয়ে আসছে। এমতাবস্থায় মাদক এর পাচার বন্ধ এবং রোহিঙ্গা বিষয়ে চিন্তা করে সরকার তথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাছ শিকার বন্ধ রেখেছেন।

বন্ধ থাকার পরে যে উদ্দেশ্যে বন্ধ রাখা হয়েছিল সেটা পরিপূর্ণ ভাবে সফল হয়েছে বলা যাবে না। একটা বিষয় আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই নাফ নদী ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে বড় বড় মাদকের চালান আটক হচ্ছে এবং মাদক পাচার হচ্ছে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন এবং অত্র কক্সবাজার জেলার জনসাধারণ কমবেশি সবাই জানে।

তাই বলে কি বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার বন্ধ আছে?

আমাদের দেশে প্রতিবছর মাছের প্রজননের সময় মৎস্য অধিদপ্তর একটি নির্দিষ্ট সময় জেলেদের মাছ শিকারের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে। এই সময়েই জেলেদের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে জাতীয়ভাবে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় অনেক গুরুত্ব সহকারে সংবাদ প্রকাশিত হয় এবং তাদেরকে সরকার যতটুকু পারে সাহায্য সহযোগিতাও করে থাকে ।

আমাদের মহেশখালীর হাজার হাজার প্রকৃত জেলেরা আজকে ( যারা নদীতে মাছ শিকার করে ) ধরে মাছ শিকার করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

মহেশখালীর একটি নির্ভুল প্রকৃত জেলেদের তালিকা হওয়া প্রয়োজন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির মাধ্যমে যাচাইবাচাই করে একটি নির্ভুল প্রকৃত জেলের তালিকা প্রণয়ন করা যেতে পারে। সাগরে মাছ শিকার এর নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে জেলেরা সবাই ঘরেই আছে। এখনই প্রকৃত জেলেদের তালিকা নির্ভুল ভাবে প্রণয়ন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি সাগরে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে সরকারের ত্রাণ সহায়তা যাতে প্রকৃত জেলেরা পায়, সে বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।
এই বিষয়টি আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই,
“জীবন-জীবিকা আমাদের মৌলিক অধিকার”

প্রজননের নিষেধাজ্ঞার পরে মহেশখালীর প্রকৃত জেলেদেরকে নদীতেও মাছ শিকার করতে দেওয়া হউক।

পাশাপাশি মাদক চোরাকারবারীরা যাতে জেলের বেশে বা জেলেদের মাধ্যমে অথবা জেলেদেরকে ব্যবহার করে মাদক পাচার করতে না পারে, সেই বিষয়ে প্রকৃত জেলেদেরকে যদি কোনো ধরনের নিয়ম নীতির মধ্যে আনতে হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই নিয়মনীতি আরোপ করে জেলেদেরকে নদীতে মাছ শিকার করতে দিবে এই প্রত্যাশা করছি ।

এই বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।

Logo-orginal