, রোববার, ৫ মে ২০২৪

admin admin

প্রফেসর ড: মোহাম্মদ আলী ও ড: খালেদা হানুম স্মরণে বিএসপিইউএ’র ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২০২১-০৭-০৬ ২২:৩০:৫২ || আপডেট: ২০২১-০৭-০৬ ২২:৩০:৫৪

Spread the love

আসিফ ইকবাল, চট্টগ্রামঃ বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি একাডেমিকস (বিএসপিইউএ) আজ বেলা সাড়ে এগারোটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ আলী ও তাহার সহধর্মিণী প্রফেসর ড: খালেদা হানুমের স্মরণে এক ভার্চুয়াল স্মরণসভার আয়োজন করেছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড: হাসান মাহমুদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সম্মানিত সদস্য প্রফেসর ড: সাজ্জাদ হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড:শিরীন আক্তার।

এছাড়া অন্যান্য আলোচকদের মধ্যে নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ আবু ইউসুফ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সাউর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ট্রেজারার (মনোনীত) অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস, ডঃ শফিক রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি একাডেমিকসের সম্মানিত সভাপতি প্রফেসর ড: ফরিদ সোবহানি।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রফেসর ড: ইসরাত জাহান, পরিচালক, আইকিউএসি, সাউর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট (আউটরিচ), বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি একাডেমিকস। তিনি সংক্ষেপে প্রফেসর ড: মোহাম্মদ আলী ও প্রফেসর ড: খালেদা হানুম এর সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড: শিরীন আক্তার বলেন, প্রফেসর মোহাম্মদ আলী ও তাঁর স্ত্রী প্রফেসর ড: খালেদা হানুম বর্তমান প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। তাঁরা যেমন ছিলেন উত্তম চরিত্রের অধিকারী, তেমনি সুমিষ্টভাষী ও আদর্শ শিক্ষক।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড: সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান আধুনিকায়নে প্রফেসর মোহাম্মদ আলী ইউজিসি সদস্য হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এছাড়া, তাঁর সহধর্মিণী প্রফেসর ড: খালেদা হানুম ছাত্র সমাজের সকলের নিকট চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড: হাসান মাহমুদ এমপি বলেন, শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনার মধ্যেই নয়, বরং সবাই যেন বিভিন্ন কারিগরী দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকদের নজর রাখা উচিত, যাতে বহির্বিশ্বে এদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা নানাভাবে অবদান রাখতে পারে। প্রফেসর মোহাম্মদ আলী স্যারের মতো একজন গুণী শিক্ষকের অভাব অপূরণীয়। বর্তমান শিক্ষকদেরকে তিনি আলী স্যারের এর মত ন্যায়-নিষ্ঠাবান ও নীতিবান শিক্ষক হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

প্রফেসর মোহাম্মদ আলী ও প্রফেসর ড: খালেদা হানুমের ব্যক্তিজীবনি নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন মিসেস তামারা দিলরুবা আলী, অধ্যাপক মোহাম্মাদ আলীর নাতনী। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড: ফরিদ সোবহানি বলেন, উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দুজন মানুষ ছিলেন প্রফেসর মোহাম্মদ আলী ও প্রফেসর ড: খালেদা হানুম।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে স্মৃতিচারণ ও দোয়া পরিচালনা করেন সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ড অব ইসলামিক ব্যাংকস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের প্রফেসর ড: গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।

অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি একাডেমিকসের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন সেক্রেটারি মোহাম্মদ এমদাদ হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান, ডিপার্টমেন্ট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, আইআইইউসি এবং বিএসপিইউএ এর কালচারাল এফেয়ার্স সেক্রেটারি বদরুল হুদা সোহেল, সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ইংরেজি বিভাগ, আইআইইউবি।
উল্লেখ্য, প্রফেসর মোহাম্মদ আলী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় ও সাউর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য হিসেবে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। এছাড়া, তাঁর সহধর্মিণী প্রফেসর ড: খালেদা হানুম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন।

Logo-orginal