admin

দুবাইয়ের কারাগারে বন্দী স্বামীকে ফিরিয়ে পেতে স্ত্রী’র আকুতি’

প্রতারণার শিকার হয়ে দুবাইয়ের কারাগারে বন্দী স্বামীকে রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কিশোরগঞ্জের এক নারী। আজ রোববার জেলা শহরের গৌরাঙ্গ বাজার এলাকায় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ওই নারী দাবি করেন, প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে তাঁর স্বামী এখন দুবাইয়ের কারাগারে পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়া ওই নারীর নাম সুমি আক্তার। তাঁর স্বামীর বাড়ি জেলার কটিয়াদী উপজেলার চানপুর মধ্যপাড়ায়। প্রতারক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দুবাইপ্রবাসী রেজুয়ানুল ইসলাম ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নীলার নাম উল্লেখ করেন।

সুমি দাবি করেন, দুবাইয়ে তাঁর স্বামী আশরাফুজ্জামান পরশ লন্ড্রির ব্যবসা করতেন। পরিচিত হওয়ায় রেজুয়ানুল তাঁর (আশরাফুজ্জামান) কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা ধার নেন। পরে সেই টাকা ফেরত চাইলে উল্টো নিজের দ্বিতীয় স্ত্রীকে দিয়ে আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করান। সে মামলায় আশরাফুজ্জামান ২০২০ সালের ৯ আগস্ট থেকে কারাগারে বন্দী।

সুমি আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তাঁর স্বামীর মুক্তির ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে প্রতারক চক্রটি কয়েক দফায় তাঁর কাছ থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ২৭ আগস্ট রেজুয়ানুল ফোন দিয়ে তাঁকে বলেছেন, আশরাফুজ্জামানকে বাঁচাতে হলে আরও দুই লাখ দিরহাম (৪৪ লাখ টাকা) তাঁর অ্যাকাউন্টে দিতে হবে। না হলে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আরও মামলা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সুমি বলেন, এই প্রতারক চক্রের সঙ্গে জহির, সজল, সোহেল ও মিন্টু নামে দুবাইপ্রবাসী আরও কয়েকজন জড়িত। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা দুবাই থেকে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই প্রতারক চক্রের কারণে তাঁর স্বামী বিনা অপরাধে কারাগারে সাজা ভোগ করছেন।

সুমির সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আশরাফুজ্জামানের বাবা জমরুদ ভূঁইয়া, মা কামরুন্নাহার, চাচা আমানুল হক ও দুই শিশুসন্তান। সুমির দেওয়া দুবাইপ্রবাসী রেজুয়ানুলের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তা বন্ধ পাওয়া যায়।
সুত্রঃ প্রথম আলো।