admin
প্রকাশ: ২০২১-০৮-৩০ ১৬:০৮:২৪ || আপডেট: ২০২১-০৮-৩০ ১৬:১০:০৯
ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইয়ুম (৪৪) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ‘কোমায়’ ছিলেন। তাঁকে ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়েছিল।
আজ সোমবার বিকেল তিনটার দিকে পাইলট নওশাদের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আজ বেলা ১১টার দিকে পাইলট নওশাদের ভেন্টিলেটর খুলে দিয়ে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্যাপ্টেন নওশাদের মারা যাওয়ার বিষয়টি আমাদের কাছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তাঁকে কখন দেশে আনা হবে, কখন তিনি মারা গেলেন এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাসকাট থেকে ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি ঢাকায় আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন কাইয়ুম অসুস্থ বোধ করেন। পরে বিমানটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। ওই ফ্লাইটটিতে যাত্রী ছাড়াও ছয়জন ক্রু সদস্য এবং একজন কো-পাইলট ছিলেন। তাঁরা সবাই নিরাপদে ছিলেন। শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।
ক্যাপ্টেন কাইয়ুম ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেসের পরিচালক সুভরজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান রঞ্জন বারোকার, এবং বীরেন্দ্র বেলেকারের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম।
সুত্র: প্রথম আলো।