, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

admin admin

বিমানের অসুস্থ পাইলট এন এ কাইয়ুম এখনো কোমায় আছেন’

প্রকাশ: ২০২১-০৮-২৯ ১৫:৪৬:৫৭ || আপডেট: ২০২১-০৮-২৯ ১৬:০১:৫১

Spread the love

ঢাকা: গত দুদিন আগে ওমান থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের যে ফ্লাইট টি ভারতে জরুরী অবতরণ করেছিলো সেই অসুস্থ পাইলট নওশীদ আতাউল কাইয়ুম কোমায় আছেন।

তিনি ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কোমায় আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ওমান থেকে ঢাকা আসার সময় আকাশেই হার্টঅ্যাটাক করেন পাইলট নওশীদ আতাউল কাইয়ুম।

শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে বলে বিমানের জনসংযোগ শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-২২ ওমানের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ভারতের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি।

হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আকাশে থাকা অবস্থায় পাইলট হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তার সহকারী জরুরি ভিত্তিতে কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বিমানটি নাগপুরে বাবাসাহেব আম্বেদকর বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই ফ্লাইটের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। তার বয়স ৪৫ বছরের বেশি।

এই পাইলট সেই নওশাদ। যিনি পৌনে ৫ বছর আগে একটি ফ্লাইট দক্ষতার সঙ্গে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করাতে পারায় তাকে পেশাগত দক্ষতা ও নৈপুণ্যের প্রশংসা করে স্বীকৃতি দিয়েছিল আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশন।

২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বরের ঘটনা। ভোর রাতে মাস্কাট বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজে ১৪৯ জন যাত্রী ও সাত জন ক্রু নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।

বিজি ১২২ ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করার পর মাস্কাট বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেন নওশাদকে জানানো হয়, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত তার উড়োজাহাজটির হতে পারে। ওই তথ্যের পর অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাপ্টেন নওশাদ তার ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের পরিবর্তে ঢাকায় হজরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় তার অনুরোধে ঢাকায় জরুরি অবতরণের জন্য সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ল্যান্ডিংয়ের আগে ক্যাপ্টেন ফ্লাইটটি নিয়ে রানওয়ের উপরে দুই বার লো-লেভেলে ফ্লাই করেন। তখন দেখা যায়, উড়োজাহাজের পেছনের দুই নম্বর টায়ারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু ক্যাপ্টেন নওশাদ অসামান্য দক্ষতার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত টায়ার ও ল্যান্ডিং গিয়ারসহ নিরাপদে ফ্লাইটটি অবতরণ করান। ওই ফ্লাইটে ছিলেন। তারা সবাই সুস্থ ও নিরাপদে উড়োজাহাজ থেকে নেমে আসেন।

Logo-orginal