, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

admin admin

বিশ্বনবীর প্রিয় দৌহিত্র হোসেন (রাঃ) এর খুনী ইবনে জিয়াদের করুণ পরিণতি’

প্রকাশ: ২০২১-০৮-২২ ২০:১৪:৩০ || আপডেট: ২০২১-০৮-২২ ২০:১৪:৩২

Spread the love

বিশ্বনবীর প্রিয় দৌহিত্র হোসেন (রাঃ) এর খুনী ইবনে জিয়াদের করুণ পরিণতি হয়েছিল জীবনের শেষ সময়ে ।

হতভাগা ইয়াজিদের পদলেহী কুকুর চাটুকার ইবনে জিয়াদ, যে কারবালার প্রান্তরে গুলশানে রিসালাতের মাদানী পুষ্পদের ধুলিমলিন ও রক্তরঞ্জিত করেছিলো, তারও করুণ পরিণতি হয়েছিলো।পাপাত্না ইয়াজিদের পরে সবচেয়ে বেশি অপরাধী ছিলো, কুফার সে নিষ্ঠুর বর্বর, স্বেচ্ছাচারী শাসনকর্তা ওবাইদুল্লাহ ইবনে জিয়াদ।

সে নরাধমেরই নির্দেশে হযরত ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও আহলে বায়েতদেরকে জুলুম নির্যাতনের নির্মম শিকারে পরিণত করেছিল। কিন্তু কালের বিবর্তন সে নরাধমকেও রেহাই দিলো না।

যুগের আবর্তন বিবর্তনের করাল গ্রাসে নিপতিত হয়ে সে নরাধমও ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলো। মুক্তার সাখফীর নির্দেশে তাঁর সেনাপতি ইব্রাহিম বিন মালিক আস্তারের বাহিনীর হাতে ফোরাত নদীর তীরে কারবালার ঘটনার মাত্র ৬ বৎসর পর ১০ই মুহাররাম ৬৭ হিজরীতে সে নরাধম ইবনে জিয়াদ নির্মমভাবে নিহত হলো। সৈন্যরা তাঁর মস্তক কর্তন করে ইব্রাহিমের নিকট নিয়ে এলো, আর ইব্রাহিম সে মস্তক কুফায় মুক্তার সাখফীর নিকট পাঠিয়ে দিলো। – সাওয়ানেহে কারবালা, পৃষ্ঠা-১২৩, সংক্ষিপ্ত।

কুফায় শাহী প্রাসাদ তাঁর মস্তক সজ্জিত করা হলো এবং যেখানে ৬ বৎসর পূর্বে ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর পবিত্র শির মোবারক রাখা হয়েছিলো সেখানেই ইবনে জিয়াদের অপবিত্র মস্তক রাখা হলো। সে হতভাগ্য পাষন্ডের জন্য কান্নাকাটি করার মতো কেউ ছিলো না। বরং তাঁর অপমুত্যুতে সবাই আনন্দ উৎসব করেছিলো।

সহীহ হাদীসে আছে হযরত ইমারাহ বিন উমাইর হতে বর্ণিত আছে, “যখন উবাইদুল্লাহ ইবনে জিয়াদের মস্তক তাঁর সাথীদের মস্তকের সাথে রাখা হয়েছিলো তখন আমি সে মস্তকগুলো দেখার জন্য গিয়েছিলাম। হঠাৎ শোরগোল ও হৈ চৈ পড়ে গেলো,আমি দেখলাম একটি ভয়ংকর সাপ এসে মাথাগুলোর মাঝখানে অবস্থিত ইবনে জিয়াদের মস্তকের নাকের ছিদ্রে ঢুকে গেলো এবং সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে বের হয়ে সাপটি অদৃশ্য হয়ে গেলো। অতঃপর আবার শোরগোল পড়ে গেলো, দুই – তিনবার এরূপ ঘটনা ঘটলো। – সুনানে তিরমিজি খন্ড ৫ম, পৃষ্ঠা-৪৩১, হাদীস নং- ৩৮০৫, দারুল ফিকর, বৈরুত।

ইবনে জিয়াদ, ইবনে সা’দ, সীমার, কায়েস বিন আসআছ, কন্দী, খাওলী বিন ইয়াজিদ, সিনান বিন আনাস নখয়ী, আব্দুল্লাহ বিন কায়েস, ইয়াজিদ বিন মালেক প্রমূখ হতভাগা পাষন্ডরা যারা হযরত ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে শহীদ করার জন্য অংশ নিয়েছিলো এবং যারা কারবালায় এই নির্মম বর্বরতার কাজের সাথে জড়িত ছিলো, তাদেরকে বিভিন্ন রকমের শাস্তির মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছিলো|।

ধৈর্যসহকারে লেখাটি পড়ার জন্য জাযাকাল্লাহু খাইরান! #লেখাটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ।

Logo-orginal