, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

admin admin

মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মহিবুল্লাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র!

প্রকাশ: ২০২১-০৯-১৪ ১১:৫৪:৫৫ || আপডেট: ২০২১-০৯-১৪ ১১:৫৪:৫৭

Spread the love

পটুয়াখালী: সম্প্রতি পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. মহিবুল্লাহ বিরুদ্ধে আবুল বাশার নামের এক ব্যবসায়ীর অপমৃত্যুর লাশ হস্তান্তরের সময় লাশের স্বজনদের কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন বলে আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। যা বিভিন্ন অনুসন্ধানে এর কোনো তথ্য-প্রমাণ নিশ্চিত করা যায়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদান্তে পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ (পিপিএম) নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আহমেদ সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মির্জাগঞ্জ থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বেতাগী থানায় নিহত আবুল বাশারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, সহ সংশ্লিষ্টদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

স্থানীয়রা বলেন, মির্জাগঞ্জে যে কোন অপরাধের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গোপন সূত্রে যেখানে খবর পাওয়া যায় সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়, গ্রেফতার করে, আদালতে প্রেরণ করে। ওসি মহিবুল্লাহ থানায় যোগদানের পর থেকে চুরি, খুন, রাহাজানি, ডাকাতি সহ সর্বপ্রকার অপরাধ কর্মকান্ড কমে গেছে। চৌকস ওসি মহিবুল্লাহর নেতৃত্বে এসব উৎখাত হওয়ায় এর সাথে জড়িতরা ওসির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এমন কি ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের অসৎ স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেতাগীতে আমড়া পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে আবুল বাশার নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় পার্শ্ববর্তী মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ও সংশ্লিষ্ট থানায় জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লিখিত সংবাদ এর ভিত্তিতে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিববুল্লাহ শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থানার অপমৃত্যু মামলা নং ১৬ দায়ের করে এসআই সাইফুলকে তদন্তভার প্রদান করেন। এসআই সাইফুল তদন্ত করতে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলেন।

আত্মীয়-স্বজনরা বলেন, নিহত ব্যাক্তি আমড়া গাছ থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নিয়ে যাবো। তদান্তকারী কর্মকর্তার নিহতের মাথার আঘাত সন্দেহজনক মনে হওয়ায় গভীরভাবে তদান্ত করা শুরু করলে জনৈক শফিকুল ইসলাম ইরান নামের বেতাগী উপজেলার একজন সাংবাদিক পরিচয়দাানকারী ব্যাক্তি উৎশৃংখল মূলক আচরণ শুরু করে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে ও মৃতার স্বজনদের আবেগ তাড়িত বিষয়কে উস্কে দিয়ে একটি বিব্রতকর পরিবেশ তৈরি করে।

উক্ত বিব্রতকর পরিস্থিতে হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার উপক্রম হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে লাশ থানায় পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা কালে জনৈক শফিকুল ইসলাম ইরানের প্রত্যক্ষ উদ্ধত আচরণ ও উস্কানির কারণে উপস্থিত আত্মীয়-স্বজনরা পুলিশকে লাশ নিতে বাধা প্রদান করেন এবং পুলিশকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এসআই সাইফুলকে মারধর করার জন্য নির্দেশদেন জনৈক শফিকুল ইসলাম ইরান ইতিমধ্যেই যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ঘটনার ভিডিওতে স্পষ্ট শোনা যায়। ইরানের নির্দেশ শুনে উপস্থিত নিহতের স্বজনরা পুলিশ সদস্যদের মারতে উদ্যত হয় ও নিহতের দুই স্ত্রী পুলিশকে লাশ থানায় নিতে বাধা প্রদান করে জোর পূর্বক লাশের গাড়িতে উঠেপরে তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের দুই স্ত্রীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে শফিকুল ইসলাম ইরান পুলিশকে দেখে নেওয়াসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতে থাকেন যার ভিডিও ফুটেজ পুলিশের কাছে আছে।

তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুল বিষটি স্পর্শকাতর মনে করিয়া শক্তি প্রয়োগ না করে ধৈর্যসহকারে পরিবেশ শান্ত করার চেস্টা কালে তার সাথে থাকা পুলিশের সদস্যদের কাজ থেকে জোর করে লাশ নিয়ে যায় ইরান ও নিহতের স্বজনরা তখন তদন্তকারী কর্মকর্তা লাশ নিয়ে যাওয়ার বিষয় অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করলে অফিসার ইনচার্জ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে আসেন। এসে শোনেন লাশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার পশ্চিমে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যলয়ে (পশুহাসপাতাল) সিমানা প্রাচির পর্যন্ত চলে গেছেন জনৈক ইরান ও নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা।

পরে অফিসার ইনচার্জ মো. মহিববুল্লাহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ তড়িগড়ি করে লাশের কাছে গিয়ে লাশের সাথে থাকা জনৈক ইরান ও নিহতের আত্মীয়-স্বজনদের আইনগত বিষয়গুলো বুঝিয়ে বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং সকলকে আইন সঙ্গতভাবে কথা বলা এবং কাজ করার পরামর্শ দিয়ে সঙ্গীয় ফোর্স এর সহতায় পুনরায় লাশ নিয়ে থানায় আসতে চাইলে নিহতের স্বজনরা থানায় যেতে অস্বীকৃতি জানালে নিহতের স্বজনদের ইচ্ছা অনুযায়ী লাশ নিয়ে হাসপাতালে যান অফিসার ইনচার্জ মো.মহিববুল্লাহ। এবং ঘটনায় বিষয় বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট হইতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করিয়া পরিস্থিতি শান্ত করেন ও সকলের দেওয়া তথ্যে আপাতত মৃত্যুটি গাছে থেকে পরিয়া সংঘটিত হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হয়ে ময়নাতদন্ত ব্যতীত আইনগত সকল প্রক্রিয়া শেষে হোসনাবাদ ইউনিয়ানের জলিসা গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মাসুদ ও নিহতের প্রথম স্ত্রী নাজমা বেগমের বড়ভাই মো. শহিদুল ইসলাম এবং দুই স্ত্রীর নিকট মরাদেহ হস্তান্তর করেন।

স্থানীয় অভিজ্ঞ মহলের ধারণা বর্তমান সময়ের আলোচিত মির্জাগঞ্জ থানার সদা হাস্যউজ্জল বাংলাদেশ পুলিশের নিষ্ঠাবান দক্ষ চৌকস কর্মকর্তা ওসি মো. মহিবুল্লাহ এর চলমান মাবকিক কার্যক্রম ও জনবান্ধব পুলিশি সেবাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি বিভিন্ন মাধ্যমে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ওই থানার এসআই সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের মারধরের ভিডিওটি উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার করছেন।
তার/

Logo-orginal