admin
প্রকাশ: ২০২১-০৯-২৯ ১৯:৩০:২৮ || আপডেট: ২০২১-০৯-২৯ ১৯:৩০:৩০
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় মুফতি কাজী ইব্রাহীমকে দুইদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এর আগে সকালে পুলিশ মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছে মুফতি ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে। একই থানায় জেড এম রানা নামের একজন ব্যক্তি প্রতারণা ও সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলাও করেন তার বিরুদ্ধে।
পরে এ দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে
ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, গোয়েন্দা পুলিশের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে অসত্য, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট তথ্য প্রচার এবং উগ্র বক্তব্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছিলেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি করোনাভাইরাস নিয়ে নানারকম ‘অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়া’, ‘টিকা নিয়ে নারীর দাড়ি গজাচ্ছে’, ‘পুরুষ কণ্ঠ পাল্টে যাচ্ছে’, ‘স্বপ্নে দেখেছেন অন্য একটি দল ক্ষমতায় চলে এসেছে’ ইত্যাদি বক্তব্য দিয়ে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় জেড এম রানা নামের প্রতারণা ও অর্থ সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগে যে মামলা করেন তাতে তিনি কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে একটি স্কুলের টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। সেই সাথে তার কাছে চাঁদা দাবিরও অভিযোগ আনা হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের উদ্বেগ’
কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে গ্রেফতারের পর একটি বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম।
হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সম্প্রতি কিছু আলেমদের বিভিন্নভাবে গভীর রাতে তাদের নিজ বাড়ি থেকে বা অন্য কোনো স্থান থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এরূপ ঘটনা অনুচিত বলে আমরা মনে করি।’
‘আমরা বলছি না যে, আলেম ওলামারা সবাই নিষ্পাপ বা সকল দোষ ও অভিযোগমুক্ত। হতে পারে তাদের মধ্যেও কেউ অপরাধী কিংবা দোষী থাকবেন। কিন্তু আমাদের দাবি হলো, অভিযুক্তদেরকে দেশের সাধারণ নিয়মে বিচারের আওতায় আনলে জনগণ স্বস্তি পাবে’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে।