admin
প্রকাশ: ২০২১-১২-১৫ ২১:৫৭:১৪ || আপডেট: ২০২১-১২-১৫ ২১:৫৭:১৬
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গ থেকে লাশ অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়। সকাল সোয়া ১০টায় কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে কবর থেকে মরদেহ তোলার পর ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছিল কুষ্টিয়ার হাসপাতাল মর্গে।
মরদেহ উত্তোলনের কাজ তদারক করেন কুষ্টিয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন খুলনার খানজাহান আলী থানার ওসি প্রদীপ কুমার বিশ্বাস ও কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার। গত মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহ উত্তোলনের কথা ছিল। কিন্তু কাজ শেষ করতে রাত হয়ে যাবে ভেবে তা করা হয়নি।
এদিকে লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ও ময়নাতন্তের জন্য আবেদন করা হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন। বেলা দেড়টার দিকে বোর্ডের সদস্যরা মর্গে প্রবেশ করেন। বিকেল ৩টার দিকে তারা জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য একটি প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে। যোগাযোগ করা হলে সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়া হাসপাতালের মর্গে ফরেনসিক ময়নাতদন্ত করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে লাশ পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর অধ্যাপক সেলিম হোসেন মারা যান। ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়। মৃত্যুর আগে সেলিম হোসেনের ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছে কুয়েট ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।
সুত্রঃ দৈনিক সমকাল ।