, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

admin admin

ফেসবুক নিয়ে ঝগড়া, স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ২০২১-১২-২৭ ১৮:৫৩:৪১ || আপডেট: ২০২১-১২-২৭ ২১:০৬:২৪

Spread the love

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একটি আবাসিক ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার নন্দলাল মুখার্জি লেনে একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় দম্পতির মরদেহ। বিষয়টি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ধারণা, পারিবারিক অশান্তি থেকেই এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে স্ত্রী মৌসুমিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন গৌতম মাইতি। তারপর তিনি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তারা।

নিহত গৌতমের বড় মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে বলে, ‘বাবার সঙ্গে মায়ের প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। মা ফেসবুক চালাতো বলে সন্দেহ করতো বাবা। এ নিয়ে বেশি ঝামেলা হতো।’

প্রতিবেশীদের সূত্রের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, বছর তিনেক আগে নন্দলাল মুখার্জি লেনের ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন গৌতম। দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি।

গৌতমের আত্মীয় শম্ভু মিদ্দা বলেন, ‘মৌসুমি স্বাধীনচেতা ছিল। সে একবার স্কুটি চালিয়ে গ্যাংটক যেতে চেয়েছিল। এ নিয়ে গৌতমের সঙ্গে ঝামেলাও হয়। ফেসবুক করা নিয়েও দু’জনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। দীর্ঘদিন ধরেই ওদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। তার যে এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে তা ভাবা যায়নি।’

গৌতম-মৌসুমি দম্পতির দুই মেয়ে আপাতত তাদের খালার বাড়িতে রয়েছে। বড় মেয়ে বলে, ‘বাবা অনেক রাত করে বাড়ি ফিরত। সেভাবে সময় দিতো না সংসারে। মা স্বাবলম্বী হতে চেয়েছিল। কিন্তু বাবা চাইত, মা সব সময় ঘরে থাকুক। মাকে বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বিয়ে করেছিল। মা দামি প্রসাধনী ব্যবহার করত। এ নিয়ে অশান্তিও হতো। আমাদের সামনেই মাকে মারত বাবা। আমরা দুই বোন অনেকবার মানা করেছি।’

‘আমাদের দুই বোনের কথা বাবা-মা কেউই ভাবলো না’, বলে হতভাগ্য মেয়ে।
সুত্রঃ আরটিভি।

Logo-orginal