admin
প্রকাশ: ২০২২-০৮-০২ ১১:১৩:২৮ || আপডেট: ২০২২-০৮-০২ ১১:১৩:৩০
আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়ে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে হত্যার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব।
সোমবার সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাতে দেশটির রাষ্ট্রায়াত্ত সংবাদ সংস্থা দেশটির সরকারের এ অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
সেখানে বলা হয়, যে সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবে ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়ন করেছে, তাদের একজন নেতা হিসেবেই বিবেচনা করা হয় জাওয়াহিরিকে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ড্রোন হামলায় জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গত রোববার ড্রোনের মাধ্যমে আফগান রাজধানী কাবুলে ওই হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার শীর্ষ নেতাকে হত্যার ঘোষণা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকান নাগরিকদের বিরুদ্ধে হত্যা ও সহিংসতার কাজে দীর্ঘ সময় ধরে জড়িত ছিলেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। এখন ন্যায়বিচার করা হয়েছে এবং এই সন্ত্রাসী নেতা আর নেই।’
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ গত রোববার যখন ড্রোনের মাধ্যমে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তখন জাওয়াহিরি একটি সেফ হাউসের বারান্দায় অবস্থান করছিলেন।
তার আরও বলেছেন, হামলার সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা সেখানে (সেফ হাউসে) উপস্থিত ছিলেন। তবে ওই হামলায় তারা অক্ষত রয়েছেন এবং শুধুমাত্র জাওয়াহিরিকেই হত্যা করা হয়েছেন
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, কয়েক মাস ধরে পরিকল্পনার পর ৭১ বছর বয়সী আল-কায়েদা নেতার ওপর ‘নির্ভুল হামলা’ চালানোর চূড়ান্ত অনুমোদন দেন তিনি।
আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন এবং আল-জাওয়াহিরি এক সাথে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন এবং ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার আয়োজন করেন বলে অনেকে অভিহিত করেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, তার (জাওয়াহিরি) হত্যাকাণ্ড ২০০১ সালের হামলায় নিহতদের পরিবারকে দুঃখের অবসান ঘটাবে। তিনি আরও বলেন, ‘যতই সময় লাগুক না কেন, আপনি যেখানেই লুকিয়ে থাকুন না কেন, আপনি যদি আমাদের জনগণের জন্য হুমকি হয়ে থাকেন তবে যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে খুঁজে বের করবে এবং আপনাকে বের করে দেবে।’
বাইডেনের ভাষায়, ‘আমরা আমাদের জাতি, দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করা থেকে কখনোই পিছপা হবো না।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলা ছাড়াও জাওয়াহিরি অন্যান্য সহিংসতার পরিকল্পনাও করেছিলেন। এর মধ্যে ২০০০ সালের অক্টোবরে এডেনে ইউএসএস কোল নেভাল ডেস্ট্রয়ারের আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনাও রয়েছে। ওই হামলায় ১৭ মার্কিন নাবিক নিহত হয়েছিলেন।
সুত্রঃ ঢাকা টাইমস।