, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

admin admin

অবশেষে গণ-আন্দোলনে নতি স্বীকার করেছে ইরান।

প্রকাশ: ২০২২-১২-০৪ ১৮:৫৫:৫০ || আপডেট: ২০২২-১২-০৪ ১৮:৫৫:৫৩

Spread the love

নারীদের ড্রেস কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে মাহশা আমিনিকে গ্রেপ্তার এবং নিরাপত্তা হেফাজতে তার মৃত্যুতে কমপক্ষে দুই মাস ধরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। এতে সমর্থন দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। ফলে আন্দোলন আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। তা পৌঁছে গেছে কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ আসরেও। এমন অবস্থায় মোরালিটি পুলিশ বা নৈতিকতা বিষয়ক পুলিশ সংগঠনকে বাতিল করেছে ইরান। স্থানীয় মিডিয়াকে উদ্ধৃত করে রোববার এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। মাহশা আমিনিকে গ্রেপ্তার করেছিল মোরালিটি পুলিশ।

আটকের তিন দিন পর তাদের হেফাজতে থাকা ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনি মারা যান ১৬ই সেপ্টেম্বর। ফলে মোরালিটি পুলিশের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ওঠে কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব নিয়ে। এর প্রেক্ষিতে বার্তা সংস্থা আইএসএনএ ইরানের এটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মনতাজেরিকে উদ্ধৃত করেছে।

তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগের সঙ্গে কিছুই করার নেই মোরালিটি পুলিশের। তাই এ সংগঠনকে ভেঙে দেয়া হয়েছে। ধর্মীয় এক সমাবেশে এটর্নি জেনারেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়- কেন মোরালিটি পুলিশকে বাতিল করা হচ্ছে। তখন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ সংগঠনকে ভেঙে দেয়া হয়েছে।
ইরানে মোরালিটি পুলিশ আসলে পরিচিত গাস্তে ইরশাদ বা গার্ডিয়ানের প্রহরা হিসেবে। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের সময়ে। উদ্দেশ্য ছিল মর্যাদার সংস্কৃতি এবং হিজাবের মর্যাদা ছড়িয়ে দেয়া। এর অধীনে নারীদেরকে বাধ্যতামুলকভাবে মাথা ঢেকে রাখতে বলা হয়।
সুত্রঃ দৈনিক মানবজমিন।

Logo-orginal