admin
প্রকাশ: ২০২২-১২-০১ ০৯:০৬:৫৯ || আপডেট: ২০২২-১২-০১ ০৯:৩৬:৫২
আবুল কাশেম (প্রবাসী কলামিস্ট) ঃ আজ থেকে শুরু হল ঐতিহাসিক বিজয়ের মাস ডিসেম্বর।
মহান মুক্তিযুদ্ধে এ মাসের ১৬ তারিখ পাকহানাদার বাহিনীর কাছ থেকে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়।
পাকিস্তানের খবরদারী প্রত্যাখ্যান করে স্বাধীনতার স্বাদ নিতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালির মরণপণ যুদ্ধ।
দীর্ঘ ৯ মাস বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের একপর্যায়ে বাঙালি বিজয়ের দিকে ধাবিত হতে থাকে। ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছায়। একপর্যায়ে বাঙালির বীরত্বের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয় পাকিস্তানের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সামরিক বাহিনী। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশ আজ অন্ধকারে হাটছে, দেশটি ছুটছে গন্তব্যহীন এক অজনা জগতে।
অর্থনীতির করুণদশা, পাচারকারী, দূর্নীতিবাজ, ব্যাংকলুটেরা, টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, সবক্ষেত্রে সিন্ডিকেট, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদি গলা চেপে বসে আছে বাংলাদেশের বুকে।
এমন কঠিন বাস্তবতায় বাংলাদেশীরা আবারো মুক্তি পেতে পাগল,যার প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির গণ সমাবেশে জনতার ঢল।
কিন্তু কিভাবে, কে হবে কাণ্ডারী, কাদের নেতৃত্বে উদ্ধার হবে খাদের কিনারায় থাকা লাল সবুজের প্রিয় বাংলাদেশ।
বিগত ৫১ বছের কি পেয়েছে সাধারণ মানুষ?
পেয়েছে শুধু এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী আমলা ও সুবিধাবাদীরা” তারা এদেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে।
লম্বা ইতিহাস না টেনে, এক কথায় বলা যায় যে, প্রিয় দেশ আজ অসহায়ত্বের গ্লানি নিয়ে চরম মুহুর্ত অতিক্রম করতেছে।
এই মুহুর্তে শাসক শ্রেনীর দায়িত্ব ও দেশপ্রেম জাতিকে উদ্ধার করে সুন্দর রাষ্ট্র উপহার দিতে পারে।
অতএব, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে সকল দল, বুদ্ধিজীবী ও অন্যান্য মহলকে সাথে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব।
আওয়ামী লীগ এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারলে, বাংলাদেশের ইতিহাসে তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে।
সবচেয়ে বড় বিজয় হবে জাতির মুক্তি।