, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

admin admin

মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন আপিল বিভাগে বহাল”

প্রকাশ: ২০২৩-০১-০৮ ১৩:৩২:১২ || আপডেট: ২০২৩-০১-০৮ ১৩:৩৪:০০

Spread the love

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আপিল বিভাগে বহাল রাখা হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।

আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি তাদের দুজনকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এরপর তাদের জামিন ঠেকাতে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর ৪ জানুয়ারি সকালে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে মোট চারবার ফখরুল ও আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। পরে হাইকোর্টে আবেদন করেন তারা।

গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন এবং পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। তবে সেখানে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।

৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে আনে ডিবি পুলিশ। (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। পরদিন তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর।

Logo-orginal