, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

admin admin

সিঙ্গাপুর গিয়ে স্বপ্ন ভঙ্গ আহাদের’ আত্নহত্যা থেকে বেঁচে গেলেন যেভাবে।

প্রকাশ: ২০২৩-০১-৩০ ১৬:৫৭:১৯ || আপডেট: ২০২৩-০১-৩০ ১৬:৫৭:২১

Spread the love

সিঙ্গাপুর গিয়ে পরিবারের হাল ধরার স্বপ্ন দেখেছিলেন ময়মনসিংহের আহাদ মিয়া। স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে তিনি সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় তার সেই স্বপ্ন ভেঙ্গেচুরে চুরমার হয়ে যায়। রুটিন মেডিকেল পরীক্ষার সময় তার যক্ষ্মা ধরা পড়ে। এর একদিনের মধ্যেই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

যে স্বপ্ন নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন তার সেই স্বপ্নটা অধরাই থেকে গেল। সঙ্গে যুক্ত হলো যে ধার-দেনা করে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন তা পরিশোধের চিন্তা। চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে তিনি জানান, আমি আত্মহত্যা করার কথা ভাবছিলাম কারণ আমার মাথায় আর কিছু কাজ করছিল না। আমি আমার চাচা, ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য লোকদের কাছ থেকে যত টাকা ধার নিয়েছি তা কীভাবে শোধ করব।

২০ বছর বয়সী আহাদ সিঙ্গাপুরে আসার জন্য একটি এজেন্সিকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এর এক তৃতীয়াংশ তার নিজের ছিল এবং বাকি টাকা আত্মীয়স্বজন ও ব্যাঙ্ক থেকে ধার করা হয়েছিল। অন্যান্য অভিবাসী শ্রমিকদের মতো তিনিও সিঙ্গাপুরের নির্মাণ শিল্পে কাজ করে এই ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা করেছিলেন।

কিন্তু যক্ষ্মার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী, যেসব শ্রমিকরা ডাক্তারি পরীক্ষায় ব্যর্থ হন তাদের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করা হয় এবং দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
আহাদ বলেন, আমি বাড়িতে ফিরে আমার পরিবারের মুখোমুখি হতে চাইনি। মাথার ওপর বিশাল ঋণ ঝুলছে এমন খবরে তার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। তবে ঠিক এমন সময় তার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ‘ইটস রেইনিং রেইনকোটস’ (আইআরআর) নামের সিঙ্গাপুরের একটি এনজিও। সবকিছু শোনার পর এনজিও’র পক্ষ থেকে আহাদের ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য অনলাইনে তহবিল সংগ্রহ শুরু হয়। একদিনের মধ্যেই তারা ২ লাখ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার বা ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে আহাদের হাতে তুলে দেয়। এরপর ব্যাংকের মাধ্যমে তার কাছে আরও তিন লক্ষাধিক টাকা পাঠায় তারা।

আইআরআর-এর প্রতিষ্ঠাতা দীপা স্বামীনাথন বলেন, আহাদকে দেখে তার নিজের ছেলের কথা মনে পড়েছে। যদি আমার ছেলে অন্য দেশে চলে যেত এবং এমন পরিস্থিতিতে পড়তো, আমি চাইতাম ঈশ্বরের কোনো দূত এসে যেনো তাকে সাহায্য করে। আমাদের সব দেখেও বসে থাকার সুযোগ নেই। আহাদকে সাহায্য করতে যা যা করা দরকার আমরা করবো।
সুত্রঃ দৈনিক মানবজমিন ।

Logo-orginal