, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

admin admin

ছাত্রলীগ নেতার ভয়ে এলাকা ছাড়া ধর্ষিতার মা’

প্রকাশ: ২০২৩-০৪-১২ ১৪:১৫:১৫ || আপডেট: ২০২৩-০৪-১২ ১৪:১৫:১৮

Spread the love

ছবিঃ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে ধর্ষণ মামলার আসামি শেখ রাসেল।

বরগুনাঃ বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির তিন নম্বর সহ-সভাপতি পদ পেয়েছেন ধর্ষণ মামলার এক আসামি। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. শেখ রাসেল। তিনি বামনা উপজেলার জাফ্রাখালী গ্রামের বিএনপি নেতা শুক্কুর হাজীর ছেলে।

রোববার রাতে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও তৌশিকুর রহমান ইমরানের স্বাক্ষরিত ২৬ সদস্যের এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা যায়, রোববার রাতে বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক কমিটির তিন নম্বর সহ-সভাপতির পদ পেয়েছেন শেখ রাসেল নামে একজন। তিনি বামনার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি। এছাড়াও তিনি বিএনপি পরিবারের সন্তান বলেও জানা গেছে।

গত ২০১৮ সালে বরগুনার বামনা উপজেলার জাফ্রাখালী গ্রামের এক পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন সদ্য ঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পাওয়া শেখ রাসেল। এতে ওই স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয় এবং সন্তান প্রসব করেন। শেখ রাসেলের ভয়ে স্কুলছাত্রীর মা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। পরে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে গিয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন শেখ রাসেলের বিরুদ্ধে। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে।

এদিকে একজন ধর্ষণ মামলার আসামি কী করে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ পেলেন, তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বঞ্চিত বামনা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বলেন, ত্যাগীরা কমিটিতে জায়গা পায় না। অথচ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি হয় উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জার। তারা অচিরেই রাসেলের নাম বাদ দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হারুন অর রশীদ বলেন, এই অভিযুক্ত ছেলেকে আমি চিনি না। তিনি এর আগে ছাত্রলীগ করেছেন কিনা তাও আমার জানা নেই। তার বিরুদ্ধে যদি ধর্ষণ মামলা থাকে তাহলে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তো দূরের কথা তাকে দলের সদস্য পদেও রাখা উচিত হবে না। তবে আমার জানা মতে, তার বাবা শুক্কুর হাজী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শেখ রাসেল বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়েছে। আমার বাবা বিএনপি দলের ছিলেন কিনা আমার জানা নেই।

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, ওই ছেলের নাম প্রস্তাব করেছেন বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই তাকে কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। মামলার বিষয়টি জানা ছিল না, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

সাইতুল ইসলাম লিটু যুগান্তরকে বলেন, শেখ রাসেলকে সহ-সভাপতি পদ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছি। রাসেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করেছে। তবে রাসেলের বাবা শুক্কুর হাজি বিএনপির নেতা ছিলেন।
সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর।

Logo-orginal