, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

admin admin

গাজীপুরে আজমত উল্লা নয়, হেরেছে নৌকা।

প্রকাশ: ২০২৩-০৫-২৭ ০০:৪২:৫২ || আপডেট: ২০২৩-০৫-২৭ ০০:৪২:৫৬

Spread the love

আবু আবদুল্লাহ, আরটিএম ডেস্ক: যারা জায়েদা খাতুনের বিজয়ে খুশি হয়েছে বা ক্ষমতাসীনদের পরাজয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছে, তাদের অনেকের ভোট দেওয়ার সৌভাগ্য এখনো হয়নি এবং রাজনৈতিক কৌশল সম্পর্কেও ধারণা কম।

গাজীপুর সিটির মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই হয়েছে, সে লড়াইয়ে তাদের কোন পরাজয় নেই, যেমন বিজয়ের পর পর আলোচিত জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জয় হয়েছে আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়েছে ব্যক্তির।

মাকে নিয়ে শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখার করার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছে সাবেক মেয়র বিতর্কিত জাহাঙ্গীর আলম।

অন্যদিকে, একজন মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে গাজীপুরে আজমত উল্লার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তবুও তাকে হারতে হয়েছে, কারণ তিনি নৌকার প্রার্থী।

গাজীপুরের নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতিও ছিল ভাল, যদি কোন কোন কেন্দ্রে উপস্থিতি ছিল ১০%,
তবে পরিবেশ ও নিরাপত্তা পেলে দেশের মানুষ যে ভোট দিতে আগ্রহী, সেটি প্রমাণিত।

ভোটের দিনে ভোট নিয়ে আলাপ করছিলেন স্থানীয় কিছু ভোটার। তাদের নিকট একজন সাংবাদিক কাছে গিয়ে জানতে চাইলেন ‘ভোট কেমন হলো?’ জবাবে তারা সমস্বরেই বলে উঠলেন, ‘নীরব বিপ্লব’ ঘটে গেছে। সুষ্ঠু পরিবেশে লোকজন ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এই সুযোগ তারা ছাড়েননি।

সুন্দর পরিবেশ ও নিরাপত্তা বলয়ে ১৯৯১ সালে বিচারপ্রতি সাহাবুদ্দীনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত অসাধারণ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন ছিল দেশের একটি মাইলফলক।

দেশের প্রজারাই প্রকৃত রাজা, সে রাজার রাজ চর্চা করার সূবর্ণ সুযোগ হচ্ছে ভোট প্রদান, সে ভোটাধিকারই যদি না থাকে, তাহলে প্রজার অধিকার শেষ হয়ে যায়, রাষ্ট্রে সে হয়ে পড়ে গুরুত্বহীন, রাষ্ট্র ও সমাজে প্রভাবশালীদের প্রভাবে প্রজার বসবাস করাও কঠিন হয়ে পড়ে।

তাই, ভোটাধিকার আদায়ে কেয়ার টেকার সরকার পূর্ণ বহাল আন্দোলনে সক্রিয় থাকা, প্রচার করা, জনমত সৃষ্টি করা, এবং আন্দোলনে সক্রিয় থাকা নৈতিক দায়িত্ব।

Logo-orginal