admin
প্রকাশ: ২০২৩-০৮-২১ ২০:১৯:৩২ || আপডেট: ২০২৩-০৮-২১ ২০:১৯:৩৪
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় তিনজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ আগস্ট) রাতে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রবিউল হাসান সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক। রবিউল হাসান বগাদানা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বগাদানা গ্রামের সুভাস ড্রাইভার বাড়ির হেলাল উদ্দিন ও জান্নাতুল ফেরদৌসের ছেলে।
স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বখতারমুন্সী শেখ শহীদুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা শেষ করে বের হয় তিন ছাত্রী।
এ সময় তাদের পিছু নেন ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসান ও তার সহযোগীরা। একপর্যায়ে তারা নানাভাবে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন। প্রতিবাদ করলে তারা ছাত্রীদের চড়থাপ্পড় ও লাথি মারেন। পরে ছাত্রীরা দ্রুত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। রবিউল ও তার সহযোগীরা অটোরিকশার পিছু নেন। অটোরিকশার গতি রোধ করে ছাত্রীদের নামিয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে আবারও মারধর করেন তারা। ছাত্রীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় রবিউল হাসানসহ চারজনের নামে মামলা করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রবিউলের সহযোগী মো. তুষার, মো. মুরাদ ও মো. ফারুক। এ ঘটনায় ফেসবুকে সংবাদ প্রচারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মামুনকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকিও দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা রবিউল।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হাসান ইমাম বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক ছিলেন। রোববার রাতে রবিউল ও তার সহযোগীরা এলাকা ছেড়ে ঢাকা-চট্টগ্রামে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে ফেনী শহরে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহরের ট্রাংক রোডের একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সুত্র: দৈনিক কালবেলা।