admin
প্রকাশ: ২০২৩-১১-১০ ১৮:৫৬:৫২ || আপডেট: ২০২৩-১১-১০ ১৮:৫৬:৫৫
সারা বিশ্বের মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইল যে নৃশংস আগ্রাসন চালাচ্ছে তা বন্ধ করতে শান্তিকামী বিশ^শক্তি ও সারা দুনিয়ার মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার নিপীড়িত ফিলিস্তিনীদের পক্ষে কথা বলেছেন যা সাধুবাদযোগ্য। সরকারকে বলব মানবিক সাহায্য নিয়ে ফিলিস্তিনীদের পাশে দাঁড়াতে। মানবিক সাহায্যের জন্য দেশের জনগণ ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রস্তুত রয়েছে কিন্তু তা পৌঁছাবার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। আজ শুক্রবার বাদ জুমা ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইল কতৃক চালানো গণহত্যার প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে বের হওয়া বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী। উপস্থিত ছিলেন খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মান্নান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সম্পাদক মোফাচ্ছির হোসাইন, ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আবুল হাসান কাসেমী প্রমূখ।
মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, ফিলিস্তিনের যেদিকেই তাকানো যায় শুধু রক্ত, লাশ আর লাশ। শিশুদের লাশ, নারীদের লাশ, মুসলমানদের লাশ। মানবতাবাদী দাবিদার ইউরোপ আর আমেরিকা এখন নিশ্চুপ। তাদের মানবতা আজ কোথায়। ফিলিস্তিন নিয়ে তাদের অবস্থান প্রমাণ করেছে তারাই বরং মানবতার সবচেয়ে বড় দুশমন। এদেরকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, দখলদার ইসরাইলের সকল পণ্য বয়কট করতে হবে। যারা ইসরাইলের দোসর, আমেরিকার দোসর তাদেরকেও বয়কট করতে হবে। যারা দখলদার ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে পারে না তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আমেরিকা-ইসরাইলের দালালি করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতার অংশগ্রহণে বিশাল রুপ ধারণ করা বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে বের হয়ে পল্টন মোড়, বিজয়নগর মোড়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে এসে পল্টন মোড়ে দোয়ার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
সুত্রঃ দৈনিক ইনকিলাব ।