jamil Ahamed
প্রকাশ: ২০২০-০৪-২৪ ১৩:১৯:৩৫ || আপডেট: ২০২০-০৪-২৪ ১৩:১৯:৩৮
রাকিবউদ্দিন, বিনোদন ডেস্কঃ স্থবির সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে কুকুরদের খাবার দিচ্ছেন – মডেল নায়লা নাঈম সকলের প্রতি এই আহবান জানান অভিনেত্রী-মডেল নায়লা নাঈম । এক যুগ ধরে তিনি প্রতিনিয়ত রাস্তায় কুকুর গুলোকে খাবার দিয়ে যাচ্ছেন নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে। বিশ্বের এই দূর্দিনেও তিনি বসে নেই। অবলা প্রাণীদের জন্য তার এই প্রচেষ্টার বেগ জেনো আরও বেড়ে গেছে।
বাংলাদেশের লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনি ঢাকার বিভিন্ন স্থানের প্রায় ৩৫০০ কুকুরকে খাবার দিয়েছেন। প্রতিদিন তিনি প্রায় ১৫০-১৮০ কুকুরকে খাবার খাইয়ে থাকেন। এবং পুরো লকডাউন সময়ে তিনি করে যাবেন বলে আশাবাদী । অবাক করার বিষয় হলো এই অবলা প্রাণীদের খাবারের জন্য প্রতিদিন বাজার থেকে শুরু করে খাওয়ানো সব তিনি একাই করছেন। মাঝে মধ্যে অবশ্য তার মা তাকে সাহায্য করছেন খাবার তৈরিতে। এই লকডাউন পরিস্থিতিতে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খাবার দেওয়াতে কোন সমস্যায় পড়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু সমস্যা তো থাকেই তবে পুলিশ ভাইয়েরা অনেক সাহায্য করছেন।
অনেকে আমাকে দেখলেই ডেকে বলেন আপু এদিকের কুকুর গুলোকে একটু খাবার দিয়ে যান। তার এই ভিন্নরকম প্রচেষ্টা, প্রানীদের প্রতি ভালোবাসার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান আছেন, সরকার আছেন, কিন্তু এদের জন্য কেউ নেই। মানুষ চাইতে পারে কিন্তু এরা পারে না বলতে। আর এই লকডাউনে সব কিছুই বন্ধ, রাস্তার চা এর দোকানও খোলা নেই যে ওদের কিছু খাবারের জোগান হবে।
এদের জন্য তো ভালো খাবারের দরকার নেই, বাড়ির ফেলনা খাবারই যথেষ্ঠ। সবার প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই দেখেছি যে, নানু এবং দাদু দুজনেই দুটো নির্দিষ্ট পাত্র ব্যাবহার করতেন।সেই পাত্রে বাসার সমস্ত কাঁটা বা মেখে ফেলানো ভাত বা হাড়গোড় সমস্ত কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় ওই পাত্রে রেখে দিতেন। বড় হওয়ার পর আম্মুকেও এই কাজটি করতে দেখেছি। সেটা একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর দিনে দুইবার করে খাবারগুলো রাস্তার ধারে যেকোনো শুকনো জায়গায় দিয়ে দিতেন, যাতে রাস্তার পথ পশুপাখিগুলো খেয়ে বাঁচতে পারে।তো, আপনাদের সমস্যা কোথায়? প্রকৃতির দিকে একটু নজর দিয়ে,প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে চাইলেই আমরা পারি করতে। এই লকডাউনের সময় পলিথিনে মুড়ে খাবারগুলো একটা নির্দিষ্ট স্থনে ফেলে দিতে পারি রাস্তায় থাকা অবলা প্রাণী দের জন্য। যাতে পথের যে বোবা প্রাণীগুলা,ওরা একটু খেয়ে বাঁচতে পারে।