admin
প্রকাশ: ২০২১-০৪-১৭ ১৪:৩৬:০৩ || আপডেট: ২০২১-০৪-১৭ ১৪:৩৭:৪৮
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে আরো এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা পাঁচ এ দাঁড়িয়েছে। নিহতরা হলেন- আহমদ রেজা (১৮), রনি হোসেন (২২), শুভ (২৪), মো. রাহাত (২৪) ও মো. রায়হান (২৫)। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৪ জন বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মো. রায়হান দুপুরে
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। শনিবার সকালে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেতন ভাতা সংক্রান্ত দাবি আদায়ে বিক্ষোভ থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত ১১ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- হাবিব উল্লাহ (২১), মো. রাহাত (৩০), মিজান (২২), মো. মুরাদ (২৫), মো. শাকিল (২৩), মো. কামরুল (২৬), মাসুম আহমদ (২৪), আমিনুল হক (২৫), মো. দিদার (২৩), ওমর (২০) ও অভি (২২)।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া জানান, বাঁশখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ও আহতদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে মো. রায়হান (২৫) মারা যান। তিনি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার আদর্শ গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। মৃতের সংখ্যা আর আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তারা জানিয়েছেন গুলিতে আহত কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আগে নিহত চার জনের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বেতন-ভাতা নিয়ে তাপবিদ্যুতকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিরোধ চলছিল। সকালে শ্রমিকরা বিক্ষোভের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
পরে আরো তিন শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি ও হাসপাতালের চিকিসৎকরা।
২০১৬ সালের এপ্রিলে একই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘাতে ছয়জন নিহত হন। বাঁশখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে এস আলম গ্রুপ।
সুত্রঃ দৈনিক ইনকিলাব।