, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

admin admin

মসজিদের নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ: জামায়াত

প্রকাশ: ২০১৬-০৬-২৯ ০০:৩৬:৩৩ || আপডেট: ২০১৬-০৬-২৯ ০০:৩৭:১৭

Spread the love

মসজিদে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের বের করে দেয়া ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ: জামায়াত

আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ঢাকাঃ রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় নির্মিতব্য মসজিদ বিষয়ে স্থানীয় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের নেতা পরিতোষ কুমার রায়ের থানায় সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক  মসজিদে ভাঙচুর ও মুসল্লিদের মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বলে মন্তব্য করেছে জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এ মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে মসজিদটি মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।

বিবৃতিতে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির ক্ষেত্রে বিশ্বে রোল মডেল। আমাদের দেশের আর্ত-সামাজিক প্রেক্ষাপটে অতীতেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের কোনো নজির দেখা যায় না, বর্তমানেও নেই, আগামীতেও তেমন কোনো সম্ভবনা আছে বলে মনে করার হয় না। কিন্তু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মহল বিশেষ বিভিন্ন সময়ে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা চালিয়ে এসেছে। তারা বার বারই পরাভূত হয়েছে। কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। অতীতের সে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় চিহ্নিত মহলটি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উম্মাদনা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত।

তিনি বলেন, কালিচরণ সাহা রোডের ৩১নং হোল্ডিংএ নির্মিতব্য মসজিদটি কোনো বিরোধপূর্ণ যায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে না। কিন্তু একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্যই মন্দিরে পুঁজা-পার্বনের অসুবিধার অজুহাতে এই মসজিদ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। আর সে ডায়েরির সূত্র ধরেই স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিউৎসাহী হয়ে মসজিদে হামলা ও মুসল্লিদের মারধর করে মসজিদ ত্যাগে বাধ্য করেন এবং স্থানীয় প্রশাসন মসজিদের নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যা পবিত্র রমজান মাসে মুসল্লিদের সাথে চরম ধৃষ্টতার সামিল এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এ ধরনের ধৃষ্টতা জনগণ কোনো ভাবেই মেনে নেবে না।

জামায়াত নেতা আরও বলেন, নির্মিতব্য মসজিদের স্থানে বিগত ৪০ বছর যাবৎ একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠিত ছিল। কিন্তু সে বিষয়ে বর্তমান সময়ের অভিযোগকারীরা কোনো প্রশ্ন তোলেন নি। এতে সহজেই প্রতীয়মান হয় যে, নালিশি স্থানে মসজিদ নির্মিত হলে পুঁজারীদের পুঁজা-পার্বনে বিঘœ সৃষ্টি হবে এমন অভিযোগ অসত্য, ভীত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উল্লেখ্য যে, দেশের বিভিন্ন স্থানেই মসজিদ, মন্দির, মাদরাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত থাকলেও সেসব স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের কোনো নজির নেই। মসজিদ নির্মাণে বাধা দান, অসৎউদ্দেশ্যে থানায় সাধারণ ডায়েরি, পুলিশ কর্তৃক মুসল্লিদের মারধর ও নামাজে নিষেধাজ্ঞায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে মসজিদটি মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিজ্ঞপ্তি/ এ কে

Logo-orginal