admin
প্রকাশ: ২০১৬-০৭-০১ ২৩:২২:১৯ || আপডেট: ২০১৬-০৭-০১ ২৩:২২:১৯
রাত পৌনে ৯টায় হামলা শুরু হলেও এ রিপোট লেখা পর্যন্ত রাত ১১টা হোটেলটিতে সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছিল।
এদিকে আহততের মধ্যে ৭জনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গুলশান থানার ডিউটি অফিসার সাইদুর রহমান যুগান্তরকে জানান, রাত পৌনে ৯টায় একদল সন্ত্রাসী গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বরে সড়কের ওই রেস্টুরেন্টে হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীদের স্যংখ্যা প্রথমদিকে ৮/১০ জন মনে হলেও পরবর্তীতে দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীগোষ্ঠি পুরো হোটেলটি জিম্মি করে ফেলে। হোটেলটিতে ২০ জনের মতো বিদেশী নাগরিক রয়েছেন। এর আগে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি গুলি করতে করতে হোটেলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তাদের হাতে ক্ষুদ্রাআগ্নেয়াস্ত্র, চাপাতি এবং তলোয়ারও দেখা গেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে পুলিশও সন্ত্রাসীদের দিকে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি চলতে থাকে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা গুলির পাশপাশি পর পর বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় যারা ভয়ে ছাদে ওঠে গিয়েছিলেন তারা জীবন বাঁচাতে নিচে লাফিয়ে পড়েন। এতেও কয়েকজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে সমুন রেজা নামে হোটেলটির সুপারভাইজার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আল্লাহ আকবার বলে হামলা শুরু করে। এ সময় ভয়ে তারা দিকবিদিক পালাতে থাকেন। কেউ কেউ চেয়ার-টেবিলের নিচে শুয়ে পড়েন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে পর পর কয়েকটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় আহত অবস্থায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা যখনই হোটেলটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তখনই তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে। ঘটনার আকির্স্মকতায় আইনশৃংখলা বাহিনীকে অনেকটা হতবিহ্বল হতে দেখা গেছে।
এদিকে রাত ১১টার দিকে র্যাবের একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। আক্রান্তস্থলটিকে ঘিরে হেলিকপ্টারটিকে প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায়।
তবে একটি সূত্র বলছে, হোটেলটির ভিতরে সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, রাজধানীতে এমন হামলা হবে তারা চিন্তাও করতে পারেননি। তার চাকরিজীবনে কখনও এ রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি। তবে সন্ত্রাসীরা পার পাবে না। তাদেরকে সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবেলা করা হবে।