অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত বৈদেশিক সহায়তা ছাড় সহজকরণ সংক্রান্ত এক সফটওয়্যার উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বাজেট পর্যালোচনায় বলেছে সিপিডি বলেছে, বাজেটে অনেক ভুল তথ্য রয়েছে, এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এর উত্তরে অর্থমন্ত্রী এমএ মুহিত বলেন, ‘রাবিশ, রাবিশ, রাবিশ। দে আর রাবিশ।’
তিনি বলেন, ব্যাংক হিসাবের আবগারি শুল্ক নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে তা খামাখা। এই শুল্ক নতুন কিছু না, এটা আগে থেকেই ছিল। প্রস্তাবিত বাজেটের সিস্টেমটা জাস্ট পরিবর্তন করা হয়েছে। এক লাখের টাকার ঊর্ধ্বের ক্ষেত্রে আবগরি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
ভ্যাটের বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভ্যাটের হার নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। আলোচনার উপর ভিত্তি করে সংসদে সিদ্ধান্ত আসবে। এর বেশি কিছু জানি না।
সোমবার ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’-এ বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। অথচ সরকার বলছে এটা বছর শেষে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। জিডিপি নিয়ে এমন বিতর্ক কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা একটা ধারণা থেকে বিশ্বব্যাংক করে। বাস্তবতা হলো বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) যে হিসাব দেখায় সংস্থাগুলো (বিভিন্ন দাতা সংস্থা) সেটাই মেনে নেয়। গত অর্থবছরেও তাই হয়েছে। সুতরাং এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। বছর শেষে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়াবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালেও প্রবৃব্ধি নিয়ে সমালোচনা করায় সিপিডিকে দটোটালিদ রাবিশ বলে আখ্যা দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সুত্রঃ নয়া দিগন্ত ।