admin
প্রকাশ: ২০১৫-০৭-১৮ ০১:০৯:২৯ || আপডেট: ২০১৫-০৭-১৮ ০১:০৯:২৯
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম,কিশোরগঞ্জ: নিজের সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করলেন মা।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে নিজের ছয় বছর বয়সী শিশু সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন কল্পনা বেগম।
আজ শুক্রবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ আদালতে এ জবানবন্ধি দেন মা কল্পনা বেগম। আদালতের জ্যেষ্ঠ মুখ্য বিচারিক হাকিম রেজুয়ানা রশিদ এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ১৫ জুলাই নিজের সন্তান তাহমিনা বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করতে বস্তাবন্দী করেন কল্পনা।
জবানবন্দিতে কল্পনা বেগম বলেন, তাঁদের বাড়ি করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের কামারটিয়া গ্রামে। স্বামী রাজা মিয়া রিকশা চালক।
তাঁদের চার সন্তানের মধ্যে তাহমিনা সবার ছোট। কিছুদিন আগে প্রতিবেশীর সঙ্গে কল্পনার ঝগড়া হয়। ওই সময় প্রতিপক্ষের আঘাতে তাঁর মাথা ফেটে যায়।
এই কারণে মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়। তারপর থেকে কল্পনা বেশির ভাগ সময় বিশ্রামে থাকতেন। বুধবার (১৫ জুলাই) ইফতারের পর তিনি নিজের ঘরের চৌকিতে শুয়ে ছিলেন। তাহমিনা এসে বিরক্ত করছিল।
এক পর্যায়ে মাথায় সেলাইয়ের সুতা ধরে টান দেয় তাহমিনা। এতে তিনি ব্যথা অনুভব করেন এবং রাগে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে তাহমিনা উল্টে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর আর সে নড়ছিল না।
ধরে দেখার পর বুঝতে পারেন তাহমিনা মারা গেছে। নিজের সন্তান হত্যার কথা জানাজানি হলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবেন না এই লজ্জায় লাশ গুম করার পরিকল্পনা করেন তিনি।
পরে প্লাস্টিকের বস্তায় লাশ ঢুকিয়ে ঘরের বারান্দায় রাখা একটি চৌকির নিচে রেখে দেন।
তাহমিনার বাবা রাজা মিয়া বলেন, ঘটনার সময় তিনি স্থানীয় বাজারে ছিলেন। বাজার থেকে এসে দেখতে পান তাঁর স্ত্রী কান্নাকাটি করছে।
কারণ জানতে চাইলে তাঁকে জানানো হয় তাহমিনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ এসে চৌকির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে।
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এ কে