admin
প্রকাশ: ২০১৫-০৭-২০ ১৪:২২:৪৪ || আপডেট: ২০১৫-০৭-২০ ১৪:২৩:৫০
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম, ডেস্ক: নিশ্চয় আমি আমার রাসুলদেরকে পাঠিয়েছি স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ এবং তাদের সঙ্গে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদন্ড নাজিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।
আমি আরও নাজিল করেছি লোহা, তাতে প্রচন্ড (রণ) শক্তি ও মানুষের জন্য বহু কল্যাণ রয়েছে। আর যাতে আল্লাহ জেনে নিতে পারেন, কে না দেখেও তাঁকে এবং তাঁর রাসুলদেরকে সাহায্য করে। অবশ্যই আল্লাহ মহা শক্তিধর, পরাক্রমশালী। (হাদিদ, ৫৭ : ২৫)
লক্ষণীয় বিষয় যে, কোরান মাজিদ পৃথিবীতে লোহার অবতরণ বুঝাতে ‘নাযালা’ (نزل) শব্দটি ব্যবহার করেছে।
নৃতত্ত্ববিদরা এখন স্বীকার করে যে, আমাদের সৌর জগতের পুরো শক্তি এক পরমাণু লোহা উৎপাদনের জন্যও যথেষ্ট নয়। অধিকন্তু তারা বলে, পৃথিবীর উপরিভাগে এক পরমাণু পরিমাণ লোহা উৎপাদন করার জন্যে আমাদের সৌর জগতের চারগুণ শক্তির প্রয়োজন হবে।
এভাবে নৃতত্ত্ববিদরা এই উপসংহারে পৌঁছে যে, লোহা একটি অতি জাগতিক বস্ত্ত, যা পৃথিবীতে এসেছে অন্য কোনো গ্রহ থেকে। Chemical Education নামক আমেরিকান এক সাময়িকীতে ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর সংখ্যায় এবং New Scientists -এর ১৩ জানুয়ারি ১৯৯০ সংখ্যায় বলা হয়েছে : লোহার পরমাণু কণিকাসমূহ সাধ্যাতীত দৃঢ়ভাবে ঘনীভূত।
লোহা হল সর্বাধিক ভারী পদার্থ যা মানসম্মত পারমাণবিক প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে একটি নক্ষত্রে তৈরি হয়েছে। এতে রয়েছে সর্বাধিক সুদৃঢ় নিউক্লিয়াস।
লোহাকে সংশ্লেষণ করার জন্য যে শক্তির প্রয়োজন তা পৃথিবীতে সুলভ নয়। তাই, পৃথিবীতে যে লোহা পাওয়া যায় নিঃসন্দেহে তা বাইরের মহাকাশে সংশ্লেষিত।
‘নাযালা’ শব্দটি পূর্বেকার ভাষ্যকারদের কাছে ছিল কোরান মাজিদের এক রহস্য। জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক উৎকর্ষতা কোরান মাজিদের এই রহস্যকে বিজ্ঞানের একটি বাস্তব সত্যে রূপান্তরিত করেছে।
আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কার এমন সুনিশ্চিত জ্ঞান থাকতে পারে, যা মানব জ্ঞানের সকল স্তরকে অতিক্রম করে ও ছাপিয়ে যায়। প্রিয় নিউজ
আরটিএমনিউজ২৪ডটকম/এ কে