প্রথম রাউন্ড
শক্তিমত্তা ও অভিজ্ঞতা বিচারে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় স্থানের জন্য দ্বিমুখী লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার কাছে পরাজয় হবে আইসল্যান্ড অথবা নাইজেরিয়া কোনো একটি দলে এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে ক্রোয়েশিয়া।
দ্বিতীয় রাউন্ড
যদি আর্জেন্টিনার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে যায় তবে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে ডেনমার্ক অথবা পেরু। তখন হয়তো খুব সহজেই মেসিরা দ্বিতীয় রাউন্ড পার করবে। তবে বাছাইপর্বে যদিও তারা পেরুর সঙ্গে দুবারই ড্র করেছে, কিন্ত এটা বিশ্বকাপ। আর যদি তারা রানার্সাপ হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যায় তবে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে ফ্রান্স। সেক্ষেত্রে এখানেই শেষ হতে পারে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ যাত্রা।
কোয়ার্টার ফাইনাল
আর্জেন্টিনাকে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে ও দ্বিতীয় রাউন্ডে ডেনমার্ককে তারা হারাবে, এটা ধরে নিলে কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের নাম হতে পারে স্পেন। এই যাত্রায় আর্জেন্টিনার পার হওয়াটা খুব কঠিনই বলা যায়। তারওপর বিশ্বকাপের আগে এই স্পেনের কাছেই ৬-১ ব্যাবধানের লজ্জা পেয়েছিল তারা।
সেমি ফাইনাল
ধরে নিলাম চরম হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মেসির আরেকটি অতি মানবীয় পারফরম্যান্সে আর্জেন্টিনা স্পেনকে হারিয়ে দিল। অথবা ট্রাইবেকারেই জিতে গেল স্পেনের বিপক্ষে। তখন সেমিতে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। আর এই বৈতরনী পার করাটা এভারেস্ট জয় করার মত।
ফাইনাল
২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালের প্রতিশোধের নেশায় অসাধারণ পারফরম্যান্সে সেমিতে জার্মানিকে ট্রাইবেকারে হারাল আর্জেন্টিনা। আর টানা দ্বিতীয়বারের মত ফাইনালে নাম লেখাল। তখন তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে ব্রাজিল।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল কি সত্যিই সম্ভব?
যদি ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা নিজ নিজ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয় সামনে এগিয়ে যায়, তবে এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল ম্যাচ হওয়ার পথে খুব বড় কোনো বাধা নেই। কিন্তু যদি তা না হয় তবে কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা হতে পারে।