admin
প্রকাশ: ২০১৮-০৭-১৬ ২১:৫৭:০২ || আপডেট: ২০১৮-০৭-১৬ ২১:৫৭:০২
আমরা মানুষ। মানুষ মাত্রই সামাজিক জীব। মানুষকে অসামাজিক মানুষ ভাবা কিংবা বলা যাই না। কারন, মানুষ সমাজের বাইরে অর্থাৎ একাকিত্বে বাস করতে পারে না। তার জন্য প্রয়োজন বন্ধু, আত্বীয় স্বজন, পরিবেশ। এই সমাজে যারা বাস করে, সবাই নিজেদের মানুষ দাবী করে। এর মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তি আছে যারা বাহ্যিক গঠনে সাধারণ মানুষ মনে হলেও তাদের কৃত কর্মের কারনে তারা মরেও হয় অমর। সেরকম একজন মানুষের গল্পই আমি লিখতে বসছি।
একটি দায়িত্বশীল তরুন, যিনি দেখলে সাধারণ তরুণের মত মনে হলেও তার কর্মফলের কারনে তার তারুণ্যকে মানুষ শ্রদ্ধা করে। সে তরুণ পারে তার তারুণ্যের শক্তিতে সমাজের পরিবর্তন আনতে। আর সে পরিবর্তন যদি সমাজের জন্য কল্যাণকর হয়, তাই সকলের কাম্য।
একদল তরুণ, তার তারুণ্যকে ব্যয় করে অবৈধ কাজ দিয়ে। তারা গ্রহন করে মাদকদ্রব্য, যাদের নিত্যদিনের কাজ সমাজে অশান্তি সৃষ্টি। যাদের আমরা বিপদগ্রস্ত বলে উল্লেখ করি।
এর বাইরে আরেকটি তারুণ্যের দল আছে, যারা তাদের তারুণ্যকে ব্যয় করে পরিবার, সমাজ তথা দেশের কল্যাণে। তারা প্রতিনিয়ত যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করে মাদক, জঙ্গিবাদ, অপসংস্কৃতি, কুসংস্কারেরর বিরুদ্ধে। তাদের নিত্যদিনের কাজ হচ্ছে সমাজের কল্যাণে মানবতার কল্যাণে অন্যের উপকার করা।আজ তাদের হাতের মশালে জ্বেগে উঠছে শান্তির জয়ধ্বনি। এই মশালের আলোয় আলোকিত হোক এই ভূখণ্ড। এই মশাল যাদের হাতে তারাই দায়িত্বশীল তরুণ।
একজন দায়িত্বশীল তরুণ শুধু তার পরিবারের জন্য নয়, বরং সে একটি দেশ, জাতির জন্যও আর্শীবাদস্বরূপ। একজন দায়িত্বশীল তরুণই পারে তার সমাজ, দেশকে এগিয়ে নিতে নেতৃত্বের ভূমিকা রাখতে। যার অন্যতম উদাহরন স্বাধীন বাংলার অভ্যুদয়ের ইতিহাম। কারণ, আমি মনে করি, যে সমাজে একজন দায়িত্বশীল তরুণ জন্মাবে, সে সমাজে সে আরো দশজন দায়িত্বশীল তরুণ গড়বে। সেই দশজনের হাত ধরেই সমাজ তার সকল পাপ ভুলে সত্য দর্শনরূপে নবরূপ লাভ করবে। গড়ে উঠবে একটি মডেল সমাজ কিংবা দেশ।
এই দায়িত্বশীল তরুণদেরকেই পৃথিবী তার সর্বস্ব দিয়ে খুঁজছে। সেই প্রেক্ষিতেই এই দায়িত্বশীল তরুণরা সৃষ্টি হয়। তাদের সৃষ্টিকে আমাদের শ্রদ্ধা করতে হবে, দিতে হবে অনুপ্রেরণা। তাহলেই দায়িত্বশীল নামক তরুণরা আলোর মশাল জ্বালাবে। আলোকিত করবে এ ভূখণ্ডকে। নিপাত যাবে বিপদগ্রস্ত নামক দল। গড়ে তুলবে একটি মানবিক সমাজ।