admin
প্রকাশ: ২০১৮-১০-২২ ১৫:২৫:২৯ || আপডেট: ২০১৮-১০-২২ ১৫:২৫:২৯
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পারিবারিক কলহের জের ধরে পুত্রবধূর হাতে শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে দক্ষিণ পেন্নাই গ্রামে।
নিহত শাশুড়ি ফাতেমা আক্তার (৫৫) উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পেন্নাই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। সোমবার সকালে গৌরীপুর তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ নিহত শাশুড়ির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুত্রবধূর মা খুকি আক্তার ও ভাই ঘাতক মজিবুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। ঘাতক পুত্রবধূ হালিমা আক্তার গাঢাকা দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ পেন্নাই গ্রামের রফিকুল ইসলামে ছেলে আবদুল আলিম পাশের বাড়ির হালিমা আক্তার (৩০) কে বিয়ে করেন। কিছুদিন আগে পুত্রবধূ হালিমা আক্তার স্বামী ও শাশুড়ির সাথে ঝগড়া দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়।
স্বামী আলিম মিয়া রবিবার বিকেলে শ্বশুড়বাড়ির পাশে গেলে তাদের দুই ছেলে বাবাকে পেয়ে চলে আসে। ছেলেদের নিয়ে আলিম মিয়া বাড়িতে এসে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন।
স্ত্রী হালিমা ও তার মা খুকি আক্তার ছেলেদেরকে ফেরত না দেওয়া তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে জামাইর বাড়িতে আসেন। আলিম ও তার মা তাদের ভয়ে দরজা বন্ধ করে রাখলে তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে জামাই ও শাশুড়িকে কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করলে শাশুড়ি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
তাদের চিত্কারে আশপাশের লোকজন এসে শাশুড়িকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুর নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তর স্বামী আবদুল হালিম বলেন, আমরার স্ত্রী আমার ও মার সাথে ঝগড়া করে আমার দুই ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। আমাকে দেখে আমার দুই ছেলে আমার সাথে বাড়িতে চলে আসে।
তারা চলে আসার পর তাদের মার নিকট যেতে চায়নি। রাতে খাওয়া-দাওয়া করে আমার সাথে ঘুমিয়ে থাকে। তারা না যাওয়ায় রাতের বেলায় আমার ঘরের দরজা ভেঙে আমার ঘরের ভেতর ঢুকে আমাকে ও মাকে কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে আমার মাকে হত্যা করেছে। এ হত্যার বিচার চাই।
গৌরীপুর ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আ স ম আব্দুন নূর বলেন, বউ-শাশুড়ি মারামারির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর সঠিক তথ্য জানা যাবে।এ ব্যাপারে হত্যা মামলারা প্রস্তুতি চলছে।
সুত্রঃ কুমিল্লার বার্তা।