admin
প্রকাশ: ২০১৮-১১-০৮ ১২:০৩:৩২ || আপডেট: ২০১৮-১১-০৮ ১২:০৩:৩২
জয়পুরহাট শহরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাবা দুলাল হোসেনও (৭১) মারা গেলেন। আট সদস্যের পরিবারের আর কেউ বেঁচে রইল না।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে চারজন ও পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার রাতে জয়পুরহাট শহরের আরামনগর এলাকায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হন।
নিহতরা হলেন- গৃহকর্তা আবদুল মোমিন (৩৮), স্ত্রী পরীনা বেগম (৩২), তার দুই যমজ মেয়ে হাসি ও খুশি (১২), ছোট ছেলে নূর (৬), মোমিনের বাবা দুলাল হোসেন (৭১), মা মোমেনা বেগম (৬২) ও তার মেয়ে বৃষ্টি (১৪)।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানায়, রাত ৯টার দিকে জয়পুরহাট শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজের অদূরে ব্যবসায়ী আবদুল মোমিনের বাড়িতে হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে আবদুল মোমিন, তার মা মোমেনা বেগম ও মেয়ে বৃষ্টি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ সময় আরও পাঁচ সদস্য দগ্ধ হন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাদের ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে যাওয়ার পথে চারজন ও পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
এ অগ্নিকাণ্ডে আবদুল মোমিনের টিনশেডের পাকা বাড়ির চারটি ঘর ও তার বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ অগিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হলেও এটি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ঘটেছে।
জয়পুরহাট সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলামবলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। ঘটনাস্থলে একই পরিবারের তিনজন মারা যান।
দগ্ধ পাঁচ সদস্যকে প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নেয়া পথে চারজন ও পরে আরও একজনের মৃত্যু হয়। উৎসঃ যুগান্তর।