admin
প্রকাশ: ২০১৯-০২-১৬ ০৯:৫১:৩৮ || আপডেট: ২০১৯-০২-১৬ ০৯:৫১:৩৮
বাংলা সাহিত্যের কিবদংন্তী কবি আল মাহমুদের জানাযা ও দাফন আজ অনুষ্ঠিত হবে । গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কবি পরিবারের পক্ষে আবিদ আজিম ।
তিনি জানান, আজ শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী ) সকাল ১১টায় কবির মরদেহ শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও দোয়ার জন্য রাখা হবে। পরে বাংলা একাডেমি বা জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনেও কবিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য নেয়া হবে।
মরহুম আল মাহমুদের নামাজের জানাজা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে,বাদ জোহর করা হবে।
মরহুমের জানাযার নামাজ শেষে দাফনের জন্য ঢাবিতে কবি কাজী নজরুলের সমাধির পাশে বা মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের
কোন একটাতে অনুমতি চাওয়া হবে । অনুমতি না মিললে কবির গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল গ্রামের মোল্লাবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে ।
প্রসঙ্গত, কবি আল মাহমুদ শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ইন্তিকাল করেছেন। বেসরকারি হাসপাতাল ইবনে সিনা কর্তৃপক্ষ কবির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
১৯৩৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আল মাহমুদের জন্ম। লেখালেখি শুরু করেন ৫০’র দশকে। কবি হিসেবে জনপ্রিয়তা পেতে তার খুব একটা সময় লাগেনি।
‘সোনালী কাবিন’ শব্দ দুটি উচ্চারণ করলেই যার নাম সামনে আসে, তিনি হচ্ছেন কবি আল মাহমুদ। গত ৫০ বছর ধরে বাংলা কবিতার জগতে আলোড়ন তুলেছেন এই কবি।
‘সোনালী কাবিন’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে সাহিত্যানুরাগীদের মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান এই কবি।
কবিতা, গল্প এবং উপন্যাস – সব শাখাতেই তার বিচরণ থাকলেও, আল মাহমুদ কবি হিসেবেই ব্যাপক পরিচিত।
প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘লোক লোকান্তর’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ সালে। কিন্তু কাব্যগ্রন্থ ‘সোনালী কাবিন’ আল মাহমুদকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে যায়।
আল মাহমুদের কবিতা বাংলাদেশের অনেক কবিকে প্রভাবিত করেছিল। এদের মধ্যে কবি আসাদ চৌধুরী অন্যতম। আল মাহমুদের কবিতা শুধু তাকেই নয়, বহু পাঠককে প্রভাবিত করেছে।
বিবিসিকে আসাদ চৌধুরী বলেন ” আমি অজস্র মুক্তিযোদ্ধাকে দেখেছি সোনালী কাবিন তাদের মুখস্থ”।
আল মাহমুদের কবিতার বিষয়বস্তুতে প্রথম দিকে গ্রামের জীবন, বামপন্থী চিন্তা-ধারা এবং নারী মুখ্য হয়ে উঠলেও পরবর্তীতে ইসলামী ভাবধারাও প্রবল হয়ে উঠে।