admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৫-১৩ ১৩:৫৪:৪১ || আপডেট: ২০১৯-০৫-১৩ ১৪:০০:১৭
একদিকে পানির জন্য হাহাকার, অন্যদিকে নেই বিদ্যুৎ। দুই সংকটে বিপর্যস্ত চট্টগ্রামের জনজীবন। তার ওপর যোগ হয়েছে তীব্র গরম। সব মিলিয়ে নাকাল বন্দর নগরবাসী। ওয়াসা বলছে, ২০২১ সালের আগে পানি সরবরাহ শতভাগ পূরণ সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) দাবি কোনো লোডশেডিংই নেই। আছে বিদ্যুৎ লাইনের নানা ত্রুটি। একেতো ভ্যাপসা গরম তার ওপর নেই বিদ্যুৎ। ফটোকপি মেশিন বন্ধ। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলায় ব্যবসাও বন্ধ ব্যবসায়ীর
বিদ্যুৎ নেই। তাই বাসাবাড়িতেও ঘুরে না পাখা। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষগুলোর ঠাঁই বাসাবাড়ি কিংবা ভবনের নিচে একটু স্বস্থির আশায়।
তারা জানান ৫ মিনিট পর পর কারেন্ট নিয়ে যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না।
পিডিবি দক্ষিণাঞ্চল বিতরণ সংস্থা প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন জানান, লোডশেডিং নেই। বিতরণ লাইনে ক্রুটির কারণে বিদ্যুতের এমন আসা যাওয়া।
বিদ্যুতের অভাবে গায়ের জ্বালা সহ্য করা গেলেও পানির অভাবে তৃষ্ণার জ্বালা সহ্য করা সম্ভব নয়। তীব্র পানির জন্য হাহাকার চলছে নগরীর হালিশহর, পতেঙ্গা ও পাহাড়তলীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের মাঝে। একটু পানির আাশায় কলসির এমন দীর্ঘ লাইন। কারণ দুই থেকে তিন দিন পর পাওয়া যায় পানি।
এলাকাবাসী জানান, ২-৩ দিন পর পরে পানি পাওয়া যায়। কোনো কোনো সময় ৭ দিন পরেও পানি পাই।
নগরীর পানির ৯০ ভাগ চাহিদা পূরণ করতে পারে ওয়াসা। তবে, শতভাগ পূরণে সময় লাগবে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা চেয়ারম্যান প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘দুই-তিন পরে পানি দেওয়া সম্ভব। প্রত্যেকদিন দেওয়া সম্ভব নয়। আশা করি ২০২১ সালের মধ্যে এই সমস্যা চলে যাবে।’
চট্টগ্রামে প্রতিদিন ৪০ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ওয়াসা সরবরাহ করছে ৩৬ কোটি লিটার। আর নগরীতে বিদ্যুতের চাহিদা ৭০০ মেগাওয়াট। সূত্রঃ সময় টিভি।