admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৬-১০ ১৯:৫৬:৪৮ || আপডেট: ২০১৯-০৬-১০ ১৯:৫৬:৪৮
দুবাই: আরব শেখদের সখের নাম বিলাসিতা, বিলসিতার স্থানের নাম দুবাই, আবুদাবি, শারজাহ, দেরাই, রাস আল খামা ইত্যাদি শহরগুলি ।
এইসব শহরে সে যুগ যুগ ধরে যুবতি নারী ও কিশোরী পাচার হয় বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ।
দুবাই বেশ কটি নামকরা নিউজে প্রকাশিত সংবাদে জানাযায়, দুবাই পুলিশ কর্তৃক দেইরা নাইটক্লাব থেকে আটক চার বাংলাদেশি বিচার কার্য শুরু হচ্ছে জুনে । দুবাইয়ের একটি আদালত এই ঘোষণা দিয়েছে ।
গত মার্চ মাসে আরব আমিরাতের দেইরা শহরের একটি নাইট ক্লাব থেকে অপ্রাপ্ত চার বাংলাদেশী মেয়েকে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে আটক করা হয়েছিল । যাদের বয়স ১৬ থেকে ১৭ বলে নিশ্চিত করেছে দুবাই পুলিশ ।
আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের সংবাদে জানাযায়, দেরাইয়ের আল মুরাকাবাতের একটি নাইটক্লাবে নর্তকী ও পতিতাবৃত্তি হিসাবে কাজ করার জন্য গত বছর বাংলাদেশ থেকে এই যুবতিদের দুবাইতে আনা হয়েছিল।
এই বছরের মার্চ মাসে,ঐ হোটেলের নাইটক্লাবের নর্তকী হিসেবে কাজ করছে চার কিশোরী” এমন সংবাদে পুলিশ নাইটক্লাবের ওপর রেইড হামলা চালায়, এবং ১৯ জন নারী ও পাঁচজন পুরুষকে আটক করে ।
আটক যুবতীদের ৪ বাংলাদেশী কিশোরীর বয়স ১৬ থেকে ১৭ বলে জানায় পুলিশ, বাকীদের বয়স ২০ থেকে ৩৯।
সেসব নারীদের মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়া, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের যুবতী নারী ।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “সব নারী নর্তকী ও পতিতাবৃত্তি হিসাবে কাজ করছিল।” এদের মধ্যে চারজন ১৮ বছরের কম বয়সী ছিল।
পুলিশ কর্তা বলেন, আটককৃত্রা দুবাই প্রবেশের জন্য বেশী বয়সের পাসপোর্ট ব্যবহার করে কিশোরীদের নিয়ে এসেছিল ।
আটক এক বাংলাদেশী কিশোরী বলেন, তিনি বাড়িতে তার পরিবারকে সহায়তা করতে দুবাইতে আসার জন্য রাজি হন।
তিনি বলেন, একজন পুরুষ অন্য মেয়েদের সাথে দুবাই নিয়ে আসার আগে তার পাসপোর্টের ব্যবস্থা করেছিল এবং এই দেশে পৌঁছানোর জন্য তাকে টাকা পরিশোধ করেছিল।
“আমি একটি নর্তকী হিসাবে কাজ করতে রাজি কারণ আমার পরিবার দরিদ্র এবং প্রয়োজন টাকা,” যোগ করেন ভিকটিম সে কিশোরী । কিশোরী আরো বলেন “দুবাই আসার চার দিন পর দালালরা আমাদের নাইটক্লাবে নিয়ে গিয়েছিল এবং আমাদের বলেছিল যে আমরা নর্তকী হিসাবে কাজ করব এবং আমাকে প্রতি মাসে তিনজন গ্রাহকের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করতে হবে ।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরীরা বলেন, নাইটক্লাবের ম্যানেজার সব কর্মকান্ড পরিচালনা করত।
সুত্রে প্রকাশ, বাংলাদেশ থেকে গত বছর বিভিন্ন সময়ে এই চার কিশোরীকে দুবাই পাচার করা হয় ।
আটককৃতদের মধ্যে পাঁচ আসামিকে মানব পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তবে আদালত মামলাটির শুনানির জন্য ১৮ জুন দিন ঠিক করেছে ।