admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৮-০৯ ১৩:১৭:৫৬ || আপডেট: ২০১৯-০৮-০৯ ১৩:১৭:৫৬
ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত সরকারের সৃষ্ট অচলাবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
ওই বিবৃতিতে কাশ্মীর উপত্যকা বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র। বিবৃতিতে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে এমন কোনো পদক্ষেপ না নিতে ভারত ও পাকিস্তানকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান তার সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালিত হয় বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
স্টিফেন ডুজেরিক বিবৃতিতে বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এ বিষয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ সহনশীলতা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।’
জম্মু ও কাশ্মীরকে একটি বিশেষায়িত স্বায়ত্বশাসনের অধিকার দেওয়া ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ৫ আগস্ট রদ করে ভারতের ক্ষমতাসীন জাতীয়তাবাদি দল ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার।
মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীর উপত্যকার রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী হবে সে সিদ্ধান্ত ওই অঞ্চলের প্রশাসন ও জনগণ নিজেরাই নেবে, এ মর্মে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একাধিকবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ মুহূর্তে জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে গোটা দুনিয়ার সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এখন পর্যন্ত পাঁচশোরও বেশি কাশ্মীরি আটক হয়েছেন। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার নিজ দেশের জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাশ্মীরিদের উদ্দেশে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘ভরসা দিচ্ছি ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কষ্ট কমে যাবে। ঈদ সামনে। সবাইকে শুভকামনা। জম্মু-কাশ্মীরে ঈদের সময় যেন কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ রাখছে সরকার।’
মোদি আরো বলেন, ‘আসুন সবাই মিলে দেখিয়ে দেই কাশ্মীরের সামর্থ, নয়া ভারতের সাথে নয়া জম্মু- কাশ্মীর ও নয়া লাদাখের নির্মাণ করি।’
কাশ্মীরে এখন হাজার হাজার অতিরিক্ত সেনা রাস্তায় অবস্থান করছে। সেখানকার মার্কেট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবকিছু বন্ধ এবং চারজনের বেশি লোকের কোথাও সমবেত হওয়া নিষিদ্ধ। এমনকি স্থানীয় নেতারাও আটক হয়ে আছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলুপ্তি এবং একে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে সেখানে বড় ধরনের প্রতিবাদ হতে পারে আশঙ্কা থেকেই এমন সব ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত সরকার।
গত মঙ্গলবার সংসদে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সমাপ্ত করার একটি প্রস্তাব পাস করেছে বিজেপি সরকার। ওই রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল : জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে বিভক্ত করার একটি বিলও পাস করানো হয়েছে। উৎসঃ এনটিভি।