admin
প্রকাশ: ২০১৯-০৮-১১ ১৪:০১:১৩ || আপডেট: ২০১৯-০৮-১১ ১৪:০১:১৩
চট্টগ্রামঃ কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে লম্বা ছুটির কবলে পড়েছে দেশ। টানা ছুটিতে অফিস আদালত বন্ধের সুযোগে ব্যস্ত সড়ক দখল করে দোকান বানাচ্ছে খোদ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকার রঙ্গম সিনেমা সড়কে চলছে স্টিল ফ্রেমের দোকান নির্মাণ। প্রতিবেদন দৈনিক আজাদীর।
সরেজমিন দেখা যায়, সরকারি মুসলিম হাইস্কুলের সম্মুখ সড়ক হতে বান্ডেল রোড পর্যন্ত সড়কটি রঙ্গম সিনেমা সড়ক। সিএমপি কমিশনার কার্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে চলাচলের ওই সড়কে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় দুই শতাধিক দোকানঘর। ইতোমধ্যে ১৩০টি দোকান নির্মাণের জন্য স্টিলের স্ট্রাকচার তৈরি করা হয়েছে। আরো স্ট্রাকচার স্থাপনের জন্য গর্ত খোঁড়া হয়েছে।
কথা হলে জয়নাল আবেদীন নামের এক পথচারি ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘নগরীর ব্যস্ততম সড়কের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্থাপনা নির্মাণ নজিরবিহীন। তাও আবার সেবকদের বসবাসের ঘর নাম দিয়ে স্থাপনাগুলো করা হচ্ছে। মূলত নির্মাণ করা হচ্ছে দোকান ।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চসিকের এক কাউন্সিলর জানান, ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সেবকদের আবাসন নির্মাণের জন্য নগরীর বাকলিয়ার ক্ষেতচর এলাকায় জেলা প্রশাসন থেকে নোমান কলেজ সংলগ্ন সাড়ে ৭ একর জমি বরাদ্দ নেয়া হয়। ওই জমির ৫ একর জায়গায় বর্তমানে বাকলিয়া স্টেডিয়াম নামে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেডিয়ামের সংলগ্ন আরো আড়াই একর জমিতে বস্তিঘর নির্মাণ করে চসিকের কয়েকজন কর্মকর্তা ভাড়া দিয়েছেন।
এ কাউন্সিলর জানান, ‘আইস ফ্যাক্টরি রোডের বরিশাল কলোনি সংলগ্ন চসিকের জায়গায়ও সেবকদের আবাসন নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু কিছু সুবিধাভোগী লোকদের বাধার কারণে ওই জায়গায়ও সেবকদের স্থানান্তর করা সম্ভব হয়নি। বাকলিয়া ক্ষেতচর এলাকার জমিগুলোও প্রায় ২৫-৩০ বছর আগে নেয়া। এখনো পর্যন্ত সেবকদের ওইস্থানে স্থানান্তরের কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’
এসব স্থাপনাকে দোকান নয় দাবি করে সেবকদের বসবাসের জন্য অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে চসিকের ৩২নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘ সেবকরা ওই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাচ্ছেন না। এছাড়া ওই স্থানে ১৪ তলা বিশিষ্ট দুটি দালান হচ্ছে সেবকদের জন্য। বর্তমানে সেবকদের বসবাসের জন্যই রাস্তার উপর অস্থায়ীভাবে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। দালান নির্মাণ হয়ে গেলে সেবকদের ওই দালানে স্থানান্তর করা হবে।
তবে রঙ্গম সিনেমা সড়কে চলাচলের রাস্তার উপর নির্মিতব্য স্থাপনাগুলোকে অবৈধ দাবি করেছেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। রঙ্গম সিনেমা সড়কে চলাচলের রাস্তার উপর নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলো অবৈধ। আমরা ঈদের ছুটির পরপরই এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেব।’